করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে টিকা কার্যক্রমের শুরুর দিনে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টিকা নেবেন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের চাপে নয় বরং সম্পূর্ণ নিজের আগ্রহে তিনি এ টিকা নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম টিকা নেবার অনুভূতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রুনু বেরুনিকা কস্তা বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় টিকা নিতে রাজি হয়েছি। টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা দূর করে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাই আমার লক্ষ্য।’
কস্তা বলেন, বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে অনেক দেশ টিকা না পেলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য করোনার টিকার ব্যবস্থা করেছেন। উনি দেশে টিকা আনতে পেরেছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের। প্রথম টিকা নেব— এটিও আমাকে আপ্লুত করছে।’
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো ভয় পাচ্ছেন কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক ওষুধেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। করোনার টিকা তৈরি করা হয়েছে একটা ভালো উদ্দেশ্যে। এখন কার বডিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে, সেটা তো আর কেউ আগে থেকে বলতে পারবে না। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ভয় পেলে কেউ-ই এ টিকা নেবে না।’
‘তবে, কার বডিতে এটা কাজ করবে এবং কার বডিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে, সেটা অন্য হিসাব’— যোগ করেন তিনি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুর্মিটোলা হাসপাতালের এক নার্স জানান প্রথমে টিকা নেবেন ডায়ালাইসিস ইউনিটের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। তার পরে টিকা নেবেন ফিমেল মেডিসিন ইউনিটের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নি খাতুন ও একই ইউনিটে নার্স রিনা সরকার।
তিনি আরো জানান, চিকিৎসকদের মধ্যে টিকা নেয়ার তালিকায় প্রথমে রয়েছেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. লুৎফর কবির মবিন ও ডা. শাহরিয়ার আলম।
এদিকে বেক্সিমকোর আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন ল্যাব টেস্টে উত্তীর্ণ, মানবদেহে ব্যবহারের উপযুক্ত বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘টিকার প্রতিটি লটের নমুনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। বুধবার এ টিকা দিয়েই শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাদান।’
Discussion about this post