ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাঘার হাওলা গ্রামে। প্রায় ছয় মাস আগে ভেদুরিয়া ইউনিয়নে আমার খালার বাড়িতে বেড়াতে যাই। এ সময় ওই এলাকার মো. রফিক হাওলাদারের ছেলে ও ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মামুন হাওলাদারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর মামুন হাওলাদার আমার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আমাকে ফোন করে বিরক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে আমাকে আরও বেশি বিরক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে সে আমাকে বিয়ে করাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা চলতে থাকে। গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মামুন আমাকে বিয়ে করার কথা বলে তার খালা মোসা. হাফসা বেগমকে দেখাতে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে হাফসা বেগম আমাদেরকে একটি রুমে রেখে দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় ওই রুমের মধ্যে মামুন আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে আমি মামুনকে বিয়ের করার কথা বললে মামুন টালবাহানা শুরু করে।
এরপর আমি বাধ্য হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর মামুনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। মামলার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামুমকে এখনও গ্রেফতার করেনি।
ওই কলেজছাত্রী বলেন, সম্প্রতি সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেফতার করা হলেও আমার মামলার আসামিকে দেড় মাসেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এ অবস্থায় আমি মামুন ও তার সহযোগী হাফসা বেগমকে দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি আমরা তাকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
জাগো নিউজ
Discussion about this post