জন্মই যেন আমার পাপ। কি করেছি আমি, আজ আমার নিজের ছেলেরা আমাকে মারধর করল। আমি কি বাপ, না কি বাপ নামের কলংক। এমই বুকফাটা আর্তনাদ করছিলেন এক হতভাগ্য বাবা।
জীবনের কষ্টে অর্জিত সময় আর অর্থ দিয়ে মানুষ করেছেন যে ছেলেদের সেই ছেলেদের হাতেই আজ মার খেয়ে অপমানিত হয়ে দুমড়ে দুমড়ে কাঁদছেন চার সস্তানের জনক সেই হতভাগা বাবা।
দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে উঠে আসা পরিশ্রমী এক স্বশিক্ষিত বাবার গল্প এটি। প্রায় ৩০ বছর আগে নিজ এলাকা কুষ্টিয়া জেলার গোপগ্রাম থেকে অর্থের অভাবে কাজ করে খাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে এসে বসবাস করতে শুরু করেন বাকি বিল্লাহ। পরে একই উপজেলার যশাই ইউনিয়নের ভাউডাঙ্গা গ্রামে বিয়ে করেন। সেই সংসারে তাদের চারটি ছেলে জন্ম নিয়েছে। তার বড় ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত সদস্য।
সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ছেলেদের কর্মকান্ডের সমালোচনা করায় দুই ছেলে ও তার সহধর্মীনী বাকি বিল্লাহ নামের ওই হতভাগা বাবাকে মারধর করে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকি বিল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সে সময় তার বুকফাটা কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
এ ঘটনায় তিনি ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওদের শাস্তি চাই।
বাকি বিল্লাহ বলেন, আমার মেজে ছেলে নাহিদ, সেজো ছেলে জাহিদ আর আমার স্ত্রী নাজমা আমাকে মারধর করেছে। বড় ছেলেরা এসব জানে। ওরা সবাই মিলে আমাকে মেরে ফেলবে। আমি কোথায় যাব?
তিনি একাই হাসপাতালে এসেছেন বলে জানান।























