ধর্ষক দণ্ডিত হলেও ধর্ষিত ব্যক্তি তার সম্পদ পাওয়ার বিষয়ে আইনে বিধান আছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
ভার্চুয়াল এ বৈঠক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখানে (আইনে) ক্ষতিপূরণের বিষয়ও রয়েছে, বিচারকরা যেন সেদিকে নজর দেন। ১৫ ধারায় অর্থদণ্ডের বিষয়ে বলা আছে। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি দণ্ডিত ব্যক্তির থেকে বা তার বিদ্যমান সম্পদ থেকে এ সম্পদ পাবেন।
ধর্ষণের মামলা কত দিনের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্নের সিদ্ধান্ত আছে। তদন্ত এবং বিচার পদ্ধতিসহ সবকিছুই এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এটি করবে।
বিচারক যদি কোনো কারণে বদলি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে অনেক সময় বিলম্ব হয় জানিয়ে সচিব বলেন, এজন্য কোনো বিচারকের বদলি হয়ে গেলেও তিনি মামলা যে অবস্থায় রেখে যাবেন সে অবস্থা থেকে মামলা চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এ সংশোধনী শুধু আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নয়, বিভিন্ন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা দেখেছি। আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়েই এ সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও এটি আলোচনায় এসেছে।
এই সংশোধনীর ফলে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হচ্ছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এর ফলে একটি পজিটিভ ইম্প্যাক্ট পড়বে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যারা এই ধরনের অপরাধ করার জন্য চিন্তা করবে তারা অন্তত মৃত্যুদণ্ডের আদেশের কথা ভাববে। এতে একটু হলেও মনে ভয় আসবে।
Discussion about this post