কুমিল্লার হোমনায় বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগ নেতা রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে বাঞ্চারামপুর মুসা মার্কেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে হোমনা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রিপন ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ জানান, ২০১৭ সালে একটি পণ্য মেলায় স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর সঙ্গে রিপনের পরিচয় হয়। সে তার স্ত্রী-সন্তানের কথা গোপন করে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
অভিযোগ ও থানা সূত্রে জানা জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর ভুক্তভোগী নারী কুমিল্লার হোমনা আদর্শ পাড়ায় একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
গত ২০১৭ সালের ৮ই মে রাত ৮ টায় রিপন সরকার তার ভাড়া বাসায় গিয়ে একা পেয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর অনেকদিন তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একত্রে বসবাস করেন। এক সময় তিনি জানতে পারেন, রিপন বিবাহিত এবং তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। তখনই তিনি তাকে বিয়ে করার কথা বলেন।
কিন্তু রিপন বিয়ে করতে রাজী না হয়ে তাদের গোপন ছবি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এতে ওই নারী গত ৭ই সেপ্টেম্বর আদালতে সিপি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে গত ২১শে সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি এফআইআরভুক্ত করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশেকুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার গভীর রাতে আসামী রিপন সরকারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারাপুর থানার মুসা মার্কেট থেকে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post