বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন আজকে এই যে ধর্ষণ এটা শুধুমাত্র একজন নারীকে ধর্ষণ নয়, বাংলাদেশকে ধর্ষণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধর্ষণ, বাংলাদেশের জনগণকে ধর্ষণ। এর ধিক্কার দেয়ার ভাষা আমাদের কাছে নাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বহু অপকর্ম আমরা দেখেছি, শুনেছি কিন্তু এই যে এমসি কলেজে স্বামীর হাত থেকে স্ত্রীকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ, বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে যে নির্মম নির্যাতন তা দেখিনি। এগুলো কারা করেছে তা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা এসব ঘটিয়েছে। আমরা দেখেছি বেগমগঞ্জে নারীকে যে ধর্ষণ করেছে তার বিরুদ্ধে এক বছর আগেই ধর্ষণের মামলা রয়েছে, তার তো জেলে থাকার কথা। তাহলে কি করে সে নতুন করে এ অপকর্ম করতে পারে?
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, শুধু ধর্ষণ নয়, আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তারা লুট করেছে। দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজ সরকার এ কাজ করছে। আজকে তারা কোনো ক্ষেত্রে কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভারের কি পরিমান টাকা তা আপনারা দেখেছেন। ড্রাইভারের যদি এ পরিমান টাকা থাকে তবে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের কি পরিমান আছেন। ফরিদপুরের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যদি দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করতে পারে তাহলে এই ছাত্রলীগ যারা পরিচালনা করেন সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে কি পরিমান টাকা পাচার হয়েছে। আজকে কেন এগুলো হচ্ছে? কারণ দেশে আজকে বিচার নেই। বিচারহীনতা ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে আজকে সমাজের এই দুষ্ট ব্যক্তিরা ক্ষমতার দোহাই দিয়ে এ অপকর্ম করছে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ এমন একটা অবস্থায় গিয়েছে যে মহামারি করোনাকে ভয় না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদ করতে এসেছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কয়েক শ’ নেতাকর্মী।
Discussion about this post