নারায়ণগঞ্জে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে ২২ ধারায় বলাৎকারের জবানবন্দি দিয়েছে ১১ বছরের এক শিক্ষার্থী। সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউছার আলমের আদালত শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজমল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে ওই শিক্ষার্থী জানায়, ‘শিক্ষক শহিদুল্লাহ (৪৫) তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলাৎকার করত। অনেক সময় বাসায় চলে যেতে চাইলে ভয়-ভীতি দেখাত। এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে না করত।’
অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল্লাহ চাঁদপুর জেলার উত্তর ইচলী এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার বব্দুশীর ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় অবস্থিত মারকাযুল কোরআন কওমী মাদরাসার শিক্ষক।
গত ৪ অক্টোবর রাতে মারকাযুল কোরআন কওমী মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং থেকে ওই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক শহিদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়।
বলাৎকারের শিকার ওই ছাত্রের পরিবার জানায়, গত ১৫ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মাদরাসার শিক্ষক শহিদুল্লাহ শিশুটিকে বলাৎকার করে আসছে। ব্যথা কমাতে ছাত্রটিকে ব্যথানাশক ওষুধও সেবন করায় ওই শিক্ষক। ছাত্রটি মাদরাসা থেকে বাসায় চলে যেতে চাইলে তাকে ভয়-ভীতি দেখানো হতো।
শিশুটি শেষবার বলাৎকারের শিকার হয় ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায়। পরে সুযোগ পেয়ে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাসায় গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।
এ ঘটনায় শিশুটির ফুফু বাদী হয়ে শিক্ষক শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক বলেন, ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের অভিযোগ স্বীকারও করেছেন তিনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে সোমবার আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত ওই ছাত্রের ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জাগো নিউজ
Discussion about this post