হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লাম শাহ আহমদ শফীর জানাজায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন বলে জামায়তের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শনিবার হাটহাজারীর বড় মাদ্রাসার সামনে ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে এই জানাজা শেষে মাদ্রাসার উত্তর পাশের মসজিদের কবরস্থানে আল্লামা শফীকে দাফন করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বদিউল আলম ছাড়াও চট্টগ্রামের পুলিশ ও র্যাবের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন জানাজায়।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা হাটহাজারী গিয়ে জানাজায় অংশ নেন বলে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে প্রয়াত কওমি নেতা আল্লামা আহমদ শফীকে ‘জাতির অভিভাবক’ বলেও অভিহিত করা হয়,
জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহর স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আল্লামা শফীর জানাজার আগে হাটহাজারী মাদ্রাসার মূল ফটকের সামনে বক্তব্যও দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সেখানে তিনি বলেন, “হাজার হাজার ওলামা মাশায়েখদের উস্তাদ, বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা আহমদ শফীকে হারিয়ে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
“আমরা তার অসমাপ্ত দায়িত্ব পালন করার জন্য ওলামায়েকেরামদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দান করেন সেই দোয়া করছি।”
ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল সালাউদ্দীন আইয়ুবী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আমীরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Discussion about this post