দুই বছর আগে ঘরের ছোট ছেলে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এবার একই পরিবারের আরও ৩ জন সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরের ইকড়ছই গ্রামের মো. সুলেমান হোসেন সৈকত (সুদীপ কর) ২০১৮ সালে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করার দুই বছর পর তার বাবা-মা ও বড়ভাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন।
শনিবার সকালে জগন্নাথপুর উপজেলায় বিশিষ্ট আলেম আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলির দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা নজমুদ্দিন চৌধুরীর মাধ্যমে পরিবারের বাকি সদস্যরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
এ সময় মো. সুলেমান হোসেন সৈকতের বাবা কবিন্ড করের নাম রাখা হয় মো. ইব্রাহিম হোসেন, মায়ের নাম অনিতা রানী দাস থেকে মোছা. রহিমা বিবি ও বড়ভাই রতন করের নাম রাখা হয় মো. ইসমাইল হোসেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরে ইকড়ছই গ্রামের ব্যবসায়ী কবিন্ড রায় বতর্মান মো. ইব্রাহিম হোসেনের ছোট ছেলে সুলেমায় হোসেন সৈকত ২ বছর আগে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ধর্মত্যাগ করা নিয়ে তার পরিবারের মধ্যে কোনো সমস্যা না থাকায় পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন সৈকত। তিনিই পরিবারে ইসলামের বার্তা পৌঁছাতে শুরু করেন। প্রথমদিকে তার পরিবারের কোনো সদস্য রাজি না হলেও তার দীর্ঘ চেষ্টায় শুক্রবার তার পরিবারের সকল সদস্য রাজি হন ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য।
ওইদিন বিকেলেই সুলেমান হোসেন সৈকত তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাওলানা নজমুদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে গেলে তিনি তাদের শনিবার সকালে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কথা জানান। তার কথা মতোই শনিবার সকালে সুলেমান হোসেন সৈকত তার বাবা-মা ও বড়ভাইকে নিয়ে মাওলানা সাহেবের বাসায় গেলে তিনি তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করান।
মো. সুলেমান হোসেনের বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমার ছেলে আগেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তার মাধ্যমে আমরাও এক সময় বুঝতে পারি ইসলাম শান্তির ধর্ম। পরিবারের সবাই এখন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি।
মো. সুলেমান হোসেন সৈকত বলেন, আমি আমার বন্ধু ও বিভিন্ন সময়ে মানুষের কাছ থেকে শুনেছি ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। পরবর্তীতে আমি এটি নিয়ে ভেবে দেখি এবং নিজেও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা করি। সেখান থেকেই ইসলাম ধর্মের প্রতি আমার ভালোবাসা তৈরি হয়। এজন্য আমি ২ বছর আগেই সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। কিন্তু ধর্ম ত্যাগ করায় আমার পরিবার আমাকে দূরে ঠেলে দেয়নি। আমি বাড়িতে থেকেই নামাজ, রোজা ও কোরআন তেলোওয়াত করেছি। পরবর্তীতে আমি তাদের ইসলামের বার্তা পৌঁছাতে থাকি। প্রথমে পরিবারের মানুষ রাজি না হলেও এক সময় তারা মেনে নেন।
Discussion about this post