পাকিস্তানের একটি আদালতের কক্ষে ধর্ম অবমাননা আইনে অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার দেশটির পেশোয়ারের আদালতে শুনানি চলার মধ্যেই অভিযুক্ত তাহির আহমেদ নাসিমকে হত্যা করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, সেখানে খালিদ নামে এক ব্যক্তি নাসিমকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালায়। আদালতেই তার মৃত্যু হয়।
নাসিমের বিরুদ্ধে নিজেকে নবী দাবির অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০১৮ সালে গ্রেফতারের হন নাসিম। এরপর থেকেই তিনি পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। মামলায় নাসিমের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইনের ২৯৫-এ, ২৯৫-বি এবং ২৯৫-সি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
জানা গেছে তাহির ছিলেন কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্প্রদায়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি এই সম্প্রদায় ছেড়ে চলে যান এবং নিজেকে নবী ভাবতেন। ইউটিউবে এ নিয়ে ভিডিও আপলোড করেছিলেন। মুখপাত্রের ধারণা, তাহির মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তাহিরের হত্যাকারী অপরাধ স্বীকার করেছে। খালিদ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাহির ধর্ম অবমাননার মতো অপরাধ করেছিলেন বলেই তাকে গুলি করা হয়েছে।
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইন খুবই কড়া। এই আইন অনুসারে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ এই আইন অনুসারে সাজা পাননি। কিন্তু এই অভিযোগে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও হিংসা হয়েছে।
আল জাজিরা জানাচ্ছে, ১৯৯০ থেকে এই অভিযোগে পাকিস্তানে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ম অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত, তাদের পরিবারের সদস্য, আইনজীবী এবং অভিযুক্তকে খালাসের নির্দেশ দেওয়া বিচারকও আছেন। ডয়চে ভেলে
Discussion about this post