প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রথম থেকেই কুয়েত সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারপরও সংক্রমরণ ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
তাই কুয়েত সরকার ১০ মে বিকাল ৪টা থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দেশটি সম্পূর্ন লকডাউন করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কুয়েতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে প্রত্যেকেই বারকোডের মাধ্যমে সুপারমার্কেট, গ্যাস, খাদ্য সরবরাহ ও কেনাকাটা করার জন্য অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই সুযোগ গ্রহন করতে পারবে।
লকডাউনে সাময়িক সময়ের জন্য সব ব্যাংকের প্রধান শাখা ও আবাসিক এলাকায় মুদি দোকান খোলা থাকবে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় হাঁটার অনুমতি দেয়া হয়েছে, তবে গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না।
লকডাউন আওয়তামুক্ত থাকবে, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবা খাত যেমন- বিদ্যুৎ, তেল, পৌরসভা এবং বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলো যারা এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, দেশটির করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ৪০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
এদের মধ্যে ১০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির অবস্থা অন্যদের তুলনায় বেশি খারাপ। দূতাবাসের পক্ষ থেকে এসব কর্মহীনদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছি। বাংলাদেশ সরকারের দেয়া আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি আমরা কুয়েতের বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থা ও ব্যবসায়ী থেকে সহায়তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার প্রবাসীকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে এবং আরও ৫ হাজার প্রবাসীকে ত্রাণের আওয়তায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post