করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের মুহূর্তে কাজ না থাকায় বাসা ভাড়া দিতে দেরী হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাসার ভাড়াটিয়াকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এক বাড়ির মালিক।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছেন।
কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকার খৈলসাজিন গ্রামের রিকসা চালক আব্বাছ মিয়া তার স্ত্রী জাহানারা বেগমসহ পরিবার নিয়ে কুতুববাজার এলাকায় রফিকুল ইসলাম রফিকের বাসায় ভাড়া থাকেন। মাসিক ভাড়া ৭০০শ টাকা। আব্বাছ মিয়া রিকসা চালক এবং তার স্ত্রী জাহানারা বেগম বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন.
আব্বাছ মিয়া ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, গত ৩০/৪০ দিন ধরে করোনা ভাইরাসের কারণে রিকসা চালানো বন্ধ। কাজ কাম না থাকায় গত মাসের ৭০০শ টাকা ভাড়া দিতে পারেনি। পরিবার পরিজন নিয়ে এখন কষ্ট করে জীবনযাপন করছি। আজ কুতুববাজার এলাকার কাঁচা বাজার থেকে বাকীতে কিছু সবজি ও ২/৩ কেজি চাল বাসায় নিয়ে যাওয়ার পথে বাড়ির মালিক রফিক মিয়া দেখে বাসা বাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আব্বাছ মিয়া তাকে জানায় আমার কাছে এখন টাকা নেই। বাকী করে কিছু সবজি ও চাল নিয়ে যাচ্ছি পরের মাসে দুই মাসের ভাড়া এক সাথে দিয়ে দিব। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় আব্বাছ মিয়ার স্ত্রী এগিয়ে এলে রফিক মিয়া তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। লাঠির আঘাতে আব্বাছ মিয়ার স্ত্রীর জাহানারা বেগমের একটি হাত ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জাহানারা বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক মোঃ. রফিকুল ইসলাম রফিক জানিয়েছেন, ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়া অবাচ্য ও তার স্ত্রী জামানারা বেগম আমার উপর হামলা করেছে। উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে হয়তো জাহানারা বেগম ব্যথা পেয়েছে। তাদেও হামলায় আমিও আহত হয়েছি।
Discussion about this post