লালমনিরহাটে মা-ভাইকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লবের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে শহরের স্টেডিয়াম রোডে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবের মা আনোয়ারা বেওয়া এ অভিযোগ করেন। সে সময় বিপ্লবের ভাই তাজবিরুল ইসলাম সুমন ও তার স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তার মা অভিযোগ করেন, বিপ্লব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য হওয়ায় গ্রামবাসী প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। গতকাল বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পরে তিনি ছোট ছেলে ও ছেলের বউকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মা আনোয়ারা বেওয়া আরো জানান, বড় ছেলে তাহমিদুল ইসলাম পারিবারিক সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত আছেন। তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টিসহ নানা অত্যাচার ও জুলুম চালিয়ে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে তাহমিদুল ১০-১২ জনকে নিয়ে আমার ও ছোট ছেলে তাজবিরুলের ওপর চড়াও হয়। তারা বাড়ির আশপাশের ১৮টি সুপারি গাছ, ৪টি আম গাছ ও ২টি লিচু গাছ কেটে ফেলে।
বাধা দিলে তাজবিরুল ও তার স্ত্রী খাদিজাতুল কোবরাকে মারপিট করা হয়। তাহমিদুলের ক্ষমতার দাপটে তার অন্যায় কার্যকলাপে কেউ বাধা দেয়ার সাহস পায় না।
সংবাদ সম্মেলনে সুমন বলেন, পৈতৃক সব সম্পত্তি একাই আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে আমার বড় ভাই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিধবা মা ও আমার পরিবারের ওপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছেন। আমরা এখনো বাড়িতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। জেলা প্রশাসক ও পুলিশের কাছে আমরা আবারো অভিযোগ করেছি। এর আগে অভিযোগ করে কোনো ফল আসেনি।
এ প্রসঙ্গে তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, এটা নিছক পারিবারিক ঘটনা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন নেই।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post