ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের ছাদ রক্ষায় দেয়া হয়েছে বাঁশের খুঁটি। গত দুই মাস যাবত এ অবস্থা চলছে।
যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবনের চারতলা সম্প্রসারণ কাজ চলায় শব্দ দূষণরোধ ও সাবধানতামূলক এ ব্যবস্থা সাময়িক। কাজ শেষ হলে বাঁশগুলো সরিয়ে নেয়া হবে। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে চলছে নানা ধরণের সমালোচন
২০০৫ সালে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর মূল ভবনটির তেমন কোনো সংস্কার দৃশ্যমান হয়নি। হাসপাতাল ভবনটির ছাদের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। অনেক স্থানে নোনা পড়েছে। পানি এলে ছাদ ভিজে যায়। এই জরাজীর্ণ ছাদের উপরেই চতুর্থ তলা নির্মাণ কতোটুকু যৌক্তিক এ প্রশ্নও করেছেন অনেকে।
স্বাস্থ্য বিভাগের এইচইডি (হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট) নামে একটি বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরমধ্যে একটি ১০০ শয্যার পাঁচ তলা ভবনসহ পুরাতন দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনটি দোতলায় উন্নীত ও তিনতলা ভবনটি চারতলায় উন্নীত করা হচ্ছে। এছাড়া দুইটি কোয়ার্টারের একতলাও উন্নীত করা হবে। অনিক ট্রেডিং করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে। গত চার মাস আগে শুরু হয়ে এখনো চলছে এ উন্নয়ন কাজ।
হাসপাতালের এই উন্নয়ন কাজের মধ্যেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবনটির তিনতলায় এভাবে বাঁশের খুঁটি দিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত অনিক ট্রেডিং করপোরেশনের প্রতিনিধি জানান, হাসপাতালের ওই তিনতলা ভবনের উপরে জলছাদ ছিল। এখন সেই জল ছাদ তুলে সেখানে টাইলস করা হবে। আর ভবনটিও চারতলা করা হবে। কাজ চলাকালে রোগী ও ছাদের সুবিধার্থে এভাবে বাঁশের খুঁটি দেয়া হয়েছে। কাজ শেষ হলে এসব খুঁটি সরিয়ে নেয়া হবে।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনতলা ভবনের চতুর্থ তলা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এজন্য তৃতীয় তলার বারান্দা, মহিলা ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ডের মাঝামাঝি স্থানগুলোতে বেশ কিছু বাঁশের খুঁটি ভবনের ছাদের ধ্স রোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আতঙ্কিত রোগী ও তাদের স্বজনরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, তিনতলা ছাদই যেখানে নিরাপদ নয়, সেখানে চতুর্থ তলা বানিয়ে ছাদ করা হলে ভবনের কি দশা হবে? রোগীদের নিরাপত্তাই বা কে দেবে?
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, তিনতলা ওই হাসপাতাল ভবনের উপড়ে জল ছাদ ছিলো। এখন সেখানে চারতলা নির্মাণ কাজ করায় উপরের জল ছাদ তুলে ফেলা হচ্ছে। এতে ছাদের উপর চাপ পড়ে। এছাড়া অনেক শব্দ হয়। এই চাপ ও শব্দ রোধ করার জন্যই প্রতিরক্ষামূলকভাবে এসব বাঁশের খুঁটি দেয়া হয়েছে।
চারতলা ভবনের লোড নেয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি তিনতলার ওই ছাদে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টিকে অন্যভাবে নেয়া ঠিক হবে না।
Discussion about this post