পাসপোর্ট নিয়ে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ২১ কার্যদিবসে যে পাসপোর্ট দেয়ার কথা তা পাঁচ মাসেও হাতে পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। ৭ দিনের জরুরি আবেদন করেও ঘুরতে হচ্ছে মাসের পর মাস।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা মেশিনের সক্ষমতা না থাকা এবং ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কার্যক্রম চলমান থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসের প্রতিদিনের চিত্র বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষের দীর্ঘ সারি। আঞ্চলিক অফিসগুলোর মতো এখানেও ঝক্কির সীমা নেই।
একজন ভুক্তভোগী জানান, জানুয়ারির ৬ তারিখ জমা দিয়েছি, এখনও পাইনি। আরেকজন বলেন, সিম্পল একটা ভেরিফিকেশনের জন্য ৩/৪ দিন করে আসতে বলছে। আরেক নারী বলেন, এ ছোট বাচ্চা নিয়ে ৩ বার আসা হয়ে গেল।
জরুরি পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার সময় ৭ কার্যদিবস। অথচ দুই মাস পেরিয়েও পাসপোর্ট কোথায় সেই তথ্যই পাচ্ছেন না গ্রাহক।
হজে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করতে দিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন অনেকে। আবার যেসব প্রবাসী দেশে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন, তারাও সঠিক সময়ে ফেরা নিয়েই শঙ্কিত। চিকিৎসার জন্য অতি জরুরি পাসপোর্ট করতে গিয়েও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এক ভুক্তভোগী জানান, রি-ইস্যু করতে দিয়েছি, এরমধ্যে ৫ মাস চলে গেছে। আরেক প্রবাসী বলেন, ৯ মার্চ আমার ফ্লাইট, রিটার্ন টিকিট নিয়ে আসছি আমি, কফিল আমাকে বার বার ফোন করে বলছে আমাকে ক্যান্সেল করবে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, পুরানো মেশিনের সক্ষমতার অভাব এবং ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট একসাথে চালু থাকায় তৈরি হয়েছে জটিলতা।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বলেন, দুটো একসাথে চালু থাকার কারণে হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে কারো কারো নির্ধারিত সময় অতিক্রম করে যাচ্ছে। সবার নয়। ই-পাসপোর্ট পুরো দমে চালু হলেই সঙ্কট কেটে যাবে বলে মনে করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
Discussion about this post