যশোরের চৌগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সন্তানের জননীকে মারপিট করার পাশাপাশি তার মাথার চুল কেটে দিয়েছে প্রতিবেশীরা। স্বজনরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ পাঁচ অভিযুক্তকে আটক করেছে।
আহতদের স্বজনরা জানান, রোববার দুপুরে উপজেলার সলুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাথী খাতুনের (২৬) সঙ্গে প্রতিবেশীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় প্রতিবেশী গোলাম রব্বানীর ছেলে আব্দুস সালাম, কামাল হোসেন, জামাল হোসেন, হাসান আলী ও তাদের স্ত্রী সন্তান মিলে গৃহবধূ সাথী খাতুনকে মারপিট করে। তারা সাথীকে মাটিতে ফেলে লাথি মেরে মারাত্মক আহত করে। শুধু তাই নয়, হামলাকারীরা এ সময় তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দিয়েছে।
মাথার চুল কাটা ও মারার ঘটনাটি প্রতিবেশী আহাদ আলীর ছেলে ইমরান হোসেন মোবাইল ফোনে ধারণ করেন বলে জানান স্বজনরা। মারাত্মক আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতের স্বামী রফিকুল ইসলাম জানান, একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যাওয়া নিয়ে হামলাকারী প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার আকস্মিকভাবে হামলাকারীরা আমার বাড়িতে এসে সাথীকে একা পেয়ে নির্যাতন করেছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
চৌগাছা থানা পুলিশের সেকেন্ডে অফিসার বিপ্লব কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
Discussion about this post