ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার ব্যক্তি মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে জানায় র্যাব। এর আগেও সে প্রতিবন্ধী নারী ও ছিন্নমূল নারীদের ধর্ষণ করে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব জানায়, ধর্ষণের পর সে ভিকটিমের মোবাইল নিয়ে যায় এবং তার পরিচিত এক মহিলা অরুণার কাছে মোবাইলটি বিক্রি করে। তারপর সে নরসিংদী চলে যায়। কাল সারাদিন সে বনানী রেল স্টেশনে ছিল। আজ সকালে সে শেওড়া থেকে গ্রেফতার হয়।
র্যাব জানায়, তারা প্রথমে মজনুর ছিনিয়ে নেয়া ভিকটিমের মোবাইল ট্র্যাক করে খাইরুল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে তারপর তার দেয়া তথ্যমতে তারা অরুণাকে গ্রেফতার করে। এরপরই তারা মজনুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ধর্ষণের সময় সে ঐ শিক্ষার্থীকে কয়েকবার হত্যারও হুমকি দেয় বলে জানায় র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে মজনু একাই ঢাবি শিক্ষার্থীটিকে ধর্ষণ করে বলে জানায় র্যাবকে। একইসাথে সে মাদকাসক্ত বলেও জানিয়েছে র্যাব। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানায়, এরআগেও সে বিভিন্ন ছিন্নমূল নারী, ভিক্ষুক নারী ও মানসিক প্রতিবন্ধী নারীদের ধর্ষণ করতো। এরআগে মজনু কমলাপুর রেলস্টেশন সহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসব নারীদের টার্গেট করতো তারপর তাদের প্রতি পৌশাচিক নির্যাতন চালাতো।
রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার দায়ে মজনুকে আটক করার পর সেই যুবকের ছবি তুলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দেখানো হলে তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন। র্যাবের কাছে ঐ শিক্ষার্থী বলেন ‘আমি পৃথিবীর সকল মানুষের চেহারা ভুলে যেতে পারি কিন্তু ঐ ধর্ষকের চেহারা ভুলবো না’।
Discussion about this post