রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী অথবা যেকোনো সরকারি কর্মকর্তা আমিরাতে এসে ফিরে যান তখন প্রবাসী গণমাধ্যম কর্মীদের উপর দিয়ে একটা গালির ঝড় বয়ে যায়। এই ঝড়ের জন্য কে দায়ী! সেটা জানা নেই তবে আমরা আবেগপ্রবণ জাতি সেটা মানতেই হয়।
আবেগের কারণে হয়তো দু একজন সাংবাদিক ভিসা চালুর ব্যাপারে আগত রাষ্ট্রীয় অতিথির বক্তব্যকে আবেগ দিয়ে গ্রহণ করে সরল মনে হুবুহু তুলে ধরেন। এদিকে একইভাবে আবেগপ্রবণ পাঠকরা এই তুলে ধরার কারণে কি পরিমাণ গালি দেন তা সোশ্যাল মিডিয়া যেসকল ভাইয়েরা চালাচ্ছেন সবাই অবগত আছেন।
প্রথমত হচ্ছে ভিসা চালুর ডিলার প্রবাসী সাংবাদিক নয়। রাষ্ট্রীয় সফরে যে ব্যক্তি আসে যেমন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সচিব পর্যায়ের ব্যক্তি তাদের সাথে মিডিয়া উইং থাকে। বিশেষকরে বাসস (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা) এর লোক। সফরকারী প্রধানমন্ত্রী কিংবা সচিব এর বক্তব্য হুবুহু বাসস প্রথম প্রচার করে তারপর সবাই নিজনিজ গণমাধ্যমে প্রচার করেন। তবে এর মধ্যে অনেকে আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করে যাতে পাঠকের সুবিধা হয়।
এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের গালি দিয়ে কি লাভ! তবে যারা ভিসা চালু সংক্রান্ত মিথ্যাচার করেন তাদেরকে অবশ্য আমরা কেউই সমর্থন করি না।
সমালোচনা যদি করতেই হয় কূটনৈতিক তৎপরতার পরিবর্তন আনতে সমালোচনা করুন। ভালোর জন্য সমালোচনা করলে কেউই বাঁধা দিবেনা, অযথা গালাগাল করে কিছু হবে না। তাছাড়া আমিরাত যদি ভিসা চালু না করে তাহলে আমরা দিনরাত কথা বললেও লাভ নাই।
আব্দুল্লাহ আল শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক. বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই
Discussion about this post