কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার মূল আসামি ও ওই ছাত্রীর কথিত প্রেমিক পিয়াস মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।
পিয়াস পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী গ্রামের মো. রুবেল মিয়ার ছেলে। র্যাব-১৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শোভন খান জানান, চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকেই ছায়া তদন্তে নামে র্যাব। শনিবার রাত ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল আসামি ও ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মামলার ২ নং আসামি পিয়াসকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার পিয়াসই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। রিমার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতে দেখা করার কথা বলে ঘরের বাইরে যেতে রিমাকে কয়েকবার ফোন করে পিয়াস। রাতে রিমা টয়লেটে গেলে পিয়াস তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। এক পর্যায়ে বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে নিয়ে প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে পিয়াস। পরে তার অপর তিন বন্ধুকে নিয়ে আবারও তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
গত ১৭ জুলাই রাতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন পার্শ্ববর্তী হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ও হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি আক্তার রিমা। বৃহস্পতিবার সকালে নানা বাড়ির পেছনে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা আঙ্গুরা খাতুন বাদী হয়ে চরফরাদী গ্রামের জাহিদ, পিয়াস, রুমান ও রাজু নামে চার যুবককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
Discussion about this post