আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি, বাংলা কবিতার অন্যতম শক্তিশালী কবি আল মাহমুদ শুক্রবার ১১টা ৫ মিনিটে ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি ইন্তেকালে করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
আল মাহমুদ একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধে সম্মুখ সমরেও অংশ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী হিসেবে পরিচিত দৈনিক গণকন্ঠের (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
৮২ বছর বয়সী আল মাহমুদ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবারে মারা যাওয়ার ইচ্ছার কথা কবি নিজের এক কবিতায় উল্লেখ করেছিলেন। সেই কাঙ্খিত দিনেই কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
কবির মহাপ্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়ে “স্মৃতির মেঘলা ভোর” নামের কবিতার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-
কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে
মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;
অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে,
ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।
চির বিদায় নিয়ে আত্মার তরীতে ওঠে গেলেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী কবি বাংলার উজ্জল নক্ষত্র কবি আল মাহমুদ। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি ।
আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন- আমীন
Discussion about this post