সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের প্রতি ‘অবিচার’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তার অভিযোগ, কামাল হোসেন ও এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার’ সমাবেশের খবর প্রকাশে সংবাদমাধ্যমগুলো বাড়তি গুরুত্ব দিলেও আওয়ামী লীগের ‘লাখো মানুষের’ কর্মসূচি পত্রিকার পাতায় অবহেলিত থেকেছে।
নির্বাচনের প্রচারে সড়ক পথে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে রোববার সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক সমাবেশে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী কাদেরের এমন মন্তব্য আসে।
তিনি বলেন, “গতকাল মহানগর নাট্যামঞ্চে ৩০ দলের সমাবেশে দুই হাজার লোকও হয়নি, আর আওয়ামী লীগের পথসভা জনসভায় রূপান্তর হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছে।
“মিডিয়ার একটি মহল তাদের ছবি বড় তরে প্রচার করেছে, অথচ আমাদের সিঙ্গেল ছবি দিয়েছে, সমাবেশের লাখো মানুষের ছবি দেয়নি।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ছবি না দিয়ে আমাদের জনপ্রিয়তা ঢাকা যাবে না, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ঢাকা যাবে না। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা সারা বাংলায়।”
নির্বাচন সামনে রেখে বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন ‘যুক্তফ্রন্ট’ এবং ডা. কামালের ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ শনিবার মহানগর নাট্যামঞ্চে নাগরিক সমাবেশ করে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসা বিএনপির নেতারাও ওই সমাবেশে যোগ দেন।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে সরকারকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয় ওই সমাবেশ।
তাদের সেই ‘ঐক্যে’ জনসমর্থন নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশ করার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। কিন্তু ঐক্যের নামে ৩০ দল সমাবেশ করেছে মহানগর নাট্যামঞ্চে। তাদের জনসমর্থন নেই, জনসমর্থন থাকলে, সাহস থাকলে তারা সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করত।”
কাদের দাবি করেন, চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর পথসভায় যে পরিমাণ লোক সমাগম হয়েছে, বিএনপি গত দশ বছরে এত মানুষ কোথাও জড়ো করতে পারেনি।”
এই পথসভায় বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ব্যঙ্গ করেও স্লোগান দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “সারা দেশে নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। সবাই বলেন, ধানের শীষ পেটের বিষ, ধানের শীষ সাপের বিষ।”
Discussion about this post