বিদেশি এক শিল্পীর কণ্ঠে প্রিন্স মাহমুদের ‘বাংলাদেশ’ গানটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যান্সেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গানটি গেয়েছেন কোরীয় কোনো শিল্পী। গীতিকবি ও সুরস্রষ্টা প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে ‘পিয়ানো’ অ্যালবামের জন্য গানটি গেয়েছিলেন বাংলাদেশের শিল্পী জেমস।
বিদেশি শিল্পীর কণ্ঠে নিজের গান শুনে বিস্মিত প্রিন্স মাহমুদ। গীতিকবিতা না দেখে কঠিন সব শব্দ উচ্চারণ করে গানটি গাওয়ার জন্য শিল্পীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে এ সুরকার লিখেছেন, ‘হে বিদেশিনী গুণী শিল্পী, তোমার জন্য ভালোবাসা, ভালোবাসা অপার। তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়।’
উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি খানিকটা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন প্রিন্স মাহমুদ। অনুমতি না নিয়ে ইউটিউবে তাঁর গানগুলো প্রকাশ করায় বিরক্ত তিনি। একই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ কেউ ইউটিউবে ‘বাংলাদেশ’সহ আমার অধিকাংশ গান আমার নাম বাদ দিয়ে আপলোড করে যে ঘৃণ্য কাজটি করছেন, তাঁরা কি আমার নামটি মুছে দেওয়ার জন্য এগুলো করছেন? সবার জানার কথা, আমার প্রতিটি অ্যালবাম ও গান ‘প্রিন্স মাহমুদের সুরে’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। আমার সুর করা অধিকাংশ গানের কথাও আমার লেখা। কাউকে এভাবে আপলোড করার অনুমতি আমি দিইনি।’
বেনামে গান আপলোডকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন? প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘আমি আমার মতো করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলব না। তবে ২০০১ সালের একটা ছোট্ট ঘটনা বলতে চাই। একবার এ গান নিয়ে ছোটখাটো একটা সমস্যা হয়েছিল। জেমস ভাই সরাসরি বলেছিলেন, “এ গান আমার নয়, প্রিন্সের। আমি সম্মানীর বিনিময়ে গেয়েছি।” ইউটিউবে আপলোড করা এ গানগুলো লাখ লাখবার শোনা ও দেখা হচ্ছে। এসবে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু গানটা যার, তাঁর নাম না দেওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ঘৃণ্য চক্রান্ত রয়েছে।’
সেলিব্রেটিবিডি/এইচআর
Discussion about this post