বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। রাষ্ট্রদূতের সুস্পষ্ট নির্দেশনায় এখন কোনো কোম্পানিকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে হলে অবশ্যই প্রবাসীবান্ধব নির্ধারিত শর্ত মানতে হয়, যা দূতাবাস কঠোরভাবে তদারকি করছে।
ভিসা অনুমোদনের আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে শ্রমিকের সঙ্গে কমপক্ষে দুই বছরের লিখিত চুক্তি করতে হয়, যেখানে বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও প্রাপ্য ছুটির নিশ্চয়তা দিতে হয়। এসব তথ্য সংবলিত প্রত্যয়নপত্রে কোম্পানির স্বাক্ষর থাকার পরই ভিসার সত্যায়ন দেওয়া হয়।গৃহকর্মী নিয়োগেও আগে কোনো নির্ধারিত নিয়ম ছিল না। এখন নিয়োগকর্তাকে দূতাবাসে এসে সরাসরি কর্মীর জন্য বেতন, ছুটি ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে গৃহকর্মীর ওপর কোনো অবিচার বা প্রতারণা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পথ উন্মুক্ত থাকছে।
দূতাবাসের নজরদারিতে সম্প্রতি ‘ওয়েল আল নসিফ’ নামে একটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানটি ৩ থেকে ৬ মাসমেয়াদি ভিসায় শ্রমিক এনে তাদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে আদায় করত। এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশ দূতাবাস এখন প্রবাসী সুরক্ষার বিষয়ে আপসহীন অবস্থানে রয়েছে।
দূতাবাসের ধারাবাহিক ও কঠোর পদক্ষেপে দিশাহারা হয়ে পড়েছে ভিসা দালাল চক্র। নানা কূটকৌশল ও অপপ্রচার চালিয়ে তারা দূতাবাসের শর্ত শিথিল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করা হবে না।
Discussion about this post