সম্প্রতি পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান ট্রাম্পকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে প্রশংসা করলেও, ভারত তার ভূমিকা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
১১ মে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর গোলাগুলির পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। পেহেলগামে হামলার পর ভারতের কথিত প্রতিশোধমূলক হামলার মাধ্যমে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। এতে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও দেখা দেয়।সোমবার করাচিতে এক বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘ট্রাম্প হচ্ছেন শান্তির মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, তার দল আন্তরিকভাবে এই সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছে এবং যুদ্ধবিরতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
এদিকে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এক ভয়াবহ পারমাণবিক যুদ্ধ থামিয়েছি। লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারত। আমি গর্বিত যে আমরা তা ঠেকাতে পেরেছি।’তবে ভারতের অবস্থান ভিন্ন। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সোমবার সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে বলেন, এই যুদ্ধবিরতি ছিল পুরোপুরি দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত। কোনো তৃতীয় পক্ষ (অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র) এতে জড়িত নয়।
তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান থেকে কোনো পারমাণবিক হুমকির ইঙ্গিত মেলেনি এবং ভারত শুধুই জাতীয় স্বার্থে কাজ করেছে।
কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রশ্ন তোলেন, ট্রাম্প একাধিকবার কাশ্মীর ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বললেও ভারত সরকার কেন কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এ নিয়ে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিবরণীর নিয়ন্ত্রণ’ চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেনভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কেও পররাষ্ট্র সচিব কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান, একে ‘জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়’ বলে উল্লেখ করেন।
৫ ও ৬ মে রাতে ভারত একাধিক পাকিস্তানি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা তারা ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান’ হিসেবে দাবি করে। এ হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সেনাসদস্য নিহত হন।
এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ নামের পাল্টা সামরিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকিস্তান কয়েকটি নির্দিষ্ট ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যাকে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা ‘সুনির্দিষ্ট ও সমুচিত প্রতিক্রিয়া’ বলে অভিহিত করেছেন।
পাকিস্তানের এ প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মহল সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির পথে আসে দুই দেশ। তারা।
Discussion about this post