সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ইউরোপে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে রোববার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে।
আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় ৬০ টন পণ্য নিয়ে স্পেনের উদ্দেশ্যে একটি কার্গো বিমান উড়াল দেবে, যা সিলেট থেকে ইউরোপগামী প্রথম আন্তর্জাতিক কার্গো ফ্লাইট। সরকারের বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এই ঐতিহাসিক ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।সম্প্রতি ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের পণ্য রফতানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে রফতানি বাণিজ্য সচল রাখতে এবং বিকল্প রুট খুঁজে পেতে সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের কারণে যে অতিরিক্ত রফতানি খরচের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল তা অনেকাংশে লাঘব হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, খুব শিগগিরই কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকেও একই ধরনের আন্তর্জাতিক কার্গো সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই উদ্যোগ কেবল রফতানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণই করবে না, সাথে সাথে আঞ্চলিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়াবে এবং দেশের অর্থনৈতিক মর্যাদা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ উদ্দিন আহমদ দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইতোমধ্যে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক কার্গো কমপ্লেক্স ও টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি ফ্লাইটের শিডিউল করা হলেও চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত কার্গো ফ্লাইট চালু করার উপর জোর দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন কৃষিপণ্য, ফলমূল, গার্মেন্টসসহ অন্য পণ্য সহজেই ইউরোপের বাজারে রফতানি করা সম্ভব হবে। এছাড়া প্যাকেজিং হাউজ স্থাপনের মাধ্যমে দেশের যেকোনো স্থান থেকে পণ্য সিলেটে এনে কার্গো বিমানে পাঠানো যাবে।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউরোপমুখী কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়মাবলী (এসইসি-৩) পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেশন এবং প্রশিক্ষিত লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে বিমানবন্দরের অবকাঠামো ও সরঞ্জামাদির আরো উন্নয়ন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
Discussion about this post