প্রিয় ভায়েরা ! এই গীবতের কারণে কতো শতো সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় ! আত্বীয়তার বন্ধন বর্বাদ হয়ে যায় ! অশান্তি অস্থিরতা টেনশান পারস্পরিক ঘৃণা সৃষ্টি হয় ! আর তাই গীবত ত্যাগ করুন । পরিবার ও সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনুন ।
বান্দার মুখ থেকে শব্দ নিসৃত হওয়া মাত্রই লেখার জন্য প্রহরী নিযুক্ত রয়েছে ।
বলেছেন মহান আল্লাহ ।
সূরা ক্বাফ ১৮
সুতরাং জিহ্বা সংযত করুন । গীবত করা থেকে বিরত থাকুন । নিজেকে বাঁচান ।
সাইয়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাস রাঃ বলেন “ তোমার মুসলিম ভাই সম্পর্কে তার অবর্তমানে এমন কথা বলবে, যা’ তোমার বেলায় বলা হলে তোমার ভালো লাগে । পক্ষান্তরে এমন কথা পরিত্যাগ করবে, যা’ তুমি তোমার ক্ষেত্রে পরিত্যাগ করা পছন্দ করে থাকো ।”
العقد الفريد ١٨٤/٢
যে আলোচনায় গীবত শুরু হয়, সেখানে তাদের সংগে গীবতে অংশ নিওনা । বরং স্থান ত্যাগ করো ।
কবি বলেন “ খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখা এবং তার সংগে তাল মেলানো উভয়ে একই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ।”
ابو تمام
মহানবী সাঃ বলেছেন “ যে ব্যক্তি গীবত কারীকে গীবত করা থেকে বাঁধা দেয়, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সরিয়ে দেবেন ।”
সুনানে তিরমিজি ১৯৩১
সম্মানিত ভায়েরা ! যে যার গীবত করেছেন তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেবেন । তা’ যদি কঠিন হয়ে থাকে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন নিজের জন্য এবং যার গীবত করেছেন তার জন্য ।
ইয়া আল্লাহ ! এ জীবনে যতো মানুষের গীবত করেছি, আমাদের সবাইকে মাফ করে দিন । যাদের গীবত করেছি, তাদেরকে মাফ করে দেন এবং তাদেরকে জান্নাত দান করুন ।
ইয়া আল্লাহ ! আমাদের সকলের মা বাবাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন । আমিন ।
Discussion about this post