জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশিসহ ৪৬ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমস।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসীরা অনলাইনে জালিয়াতি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের কুচাই লামার ১৭টি বিলাসবহুল আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমিগ্রেশন পুলিশ বিভাগের উপমহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা জানান, অভিযানে চীন ও ইন্দোনেশিয়ার ১৫ জন পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার ৪ নারী মিয়ানমারের একজন এবং বাংলাদেশের ২ জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারদের মধ্যে লাওস এবং থাইল্যান্ডের নাগরিকও রয়েছেন। তবে গ্রেপ্তার হওয়া দুই বাংলাদেশিসহ কারও নাম–পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, একটি সিন্ডিকেট কল সেন্টারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের স্বর্ণ, সম্পত্তি, বিলাসবহুল জাহাজ, স্টক বিনিয়োগ এবং বিদেশি মুদ্রা কেনার প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণা করত। তারা স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশি, বিশেষ করে নিজেদের দেশের নাগরিকদেরও লক্ষ্যবস্তু বানাত।
জাফরি বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে এই সিন্ডিকেট ফেসবুক, টিকটক, উইচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা করত। প্রতিদিন তারা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অন্তত ১ লাখ থেকে দেড় লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নিতো, যেখানে চক্রের সদস্যরা মাসিক প্রায় ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত বেতন পেত।
ইমিগ্রেশন পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে দুটি সার্ভার , চারটি ল্যাপটপ, ৮৮টি মোবাইল ফোন, তিনটি রাউটার, চারটি মডেম, ২৬টি সিম কার্ড এবং নগদ ১ লাখ রিঙ্গিতসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
Discussion about this post