সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র মঙ্গলবার(২৬নভেম্বর)এক বৈঠকে মিলিত হন।এই সফর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের প্রথম আমিরাত সফর ১৫ বছরের মধ্যে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।
২০০৮ সালে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া মাকাপাগাল-আররোয়ের আমলে সর্বশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করেন।এবার প্রেসিডেন্ট মার্কোস একদিনের সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার উদ্দেশ্যে আসেন।বাণিজ্য, অর্থনীতি, জ্বালানি এবং টেকসই উন্নয়নের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো ছিল এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত আলফোনসো ভের জানিয়েছেন,মার্কোসের এই সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।তার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি রূপান্তর, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি,অর্থনৈতিক সহযোগিতা।এছাড়া মহাকাশ বিজ্ঞান,কৃষি, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং মানব পাচার প্রতিরোধের মতো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ফিলিপাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ভের বলেন, “এই সম্পর্ক আমাদের সাধারণ স্বার্থ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে দৃঢ় হয়েছে।”সফরকালে প্রেসিডেন্ট মার্কোসের সঙ্গে ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী মারিয়া আন্তোনিয়া ইউলো-লয়োজাগা এবং বিশেষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দূত মা. আনা ক্যাথরিনা ইউ-পিমেন্টেলসহ প্রতিনিধিদল।
দুবাইয়ের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা হাশিম গুইনোমলা বলেন, “আমিরাত সবসময় ফিলিপাইনের পাশে থেকেছে,বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়।এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য এই সফর গুরুত্বপূর্ণ।”প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের এই ঐতিহাসিক সফর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং পারস্পরিক উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে উভয় পক্ষই আশাবাদী। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস
Discussion about this post