রাজধানী ডেমরায় অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) দিনভর সংঘর্ষের পর বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সন্ধ্যার আগেই পুরো কলেজ ও এর আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলেজের সামনে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর টিম বাইরে অবস্থান করছে। সাংবাদিক ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বাইরের সড়কে উৎসুক জনতা ভিড়।
এছাড়া ভবনের অধিকাংশ কাঁচ ভেঙে পড়েছে। পুরো ভবনজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাঁচের টুকরো। ক্লাস রুম, অফিস কক্ষ ও লিফটসহ ধ্বংস থেকে বাদ যায়নি কোনো কিছু।
স্থানীয়া বলছেন, সকাল থেকে সংঘর্ষ চলায় আসেপাশের এলাকায় জনগন আতঙ্কে ছিলে তাই সন্ধ্যার পর তারা কলেজের পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সোবহান মিয়া বলেন, সকালে যখন সংঘর্ষ শুরু হয় তখন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। কলেজের সামনে সেনাবাহিনী আছে, এজন্য দেখতে এলাম।
ভাঙাচোরা ভবন দেখতে আসা নূর মোহাম্মদ বলেন, এমনিতেই দেখতে এলাম এখানকার অবস্থা। সারা দিন সবাই আতঙ্কে ছিল। আমরাও আশপাশে ছিলাম।
কলেজের ভেতরে প্রবেশের পর কয়েকজন শিক্ষক জানান, সকালে যখন হামলা হয় তখন অল্প কিছু শিক্ষার্থী আর শিক্ষক ক্যাম্পাসে ছিলেন। হামলা করে কলেজের অফিস কক্ষ, ল্যাব, ক্লাসরুমে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে৷ কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট ও জিনিসপত্র চুরির অভিযোগও করেছেন তারা।
‘ভুল চিকিৎসায়’ মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার রাজধানীর পুরান ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুদ্ধরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজেও হামলা-ভাঙচুর চালায়। এতে ঢাকার ৩৫টিরও বেশি কলেজের শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এরই জেরে আজ মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায় সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী।
Discussion about this post