শনিবার (৯ নভেম্বর) দুই নেতার কথোপকথনের ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফোনালাপে জহুরাকে বলতে শোনা যায়, ‘মামলার তালিকা বলে না দেখে দেয় না।
চার্জশিট থেকে নাম কাটার বিষয়ে লাভলু বলেন, ‘আপনে আমার সাথে যোগাযোগ কইরেন। চার্জশিট থেকে আমি নাম কেটে দিমুনি।’
জহুরা বলেন, ‘আমি তো এখন মামলার ভয়ে বের হতে পারছি না।
প্রতুত্তরে জহুরা বলেন, ‘আমারতো নিজস্ব কোনো কাজ নাই। ওইটা আমার না।
এ বিষয়ে জানতে যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও বকশীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান জহুরা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর আলম লাভলু বলেন, ‘একটি ছেলে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলে মামা উনিতো (জহুরা বেগম) পলাতক। কোনো কাজ করতে পারছে না, একটু কথা বলেন। পরে আমি কথা বলি। আমি সহজ-সরল মানুষ ভাই। তিনি ফোনে কথা বলার শুরুতেই মামলা নিয়ে কথা বলেন। মামলার বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। কাজের জন্য তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর বলেন, ‘রেকর্ড শুনেছি। এখন একজন যদি বলে যে অমুকের কাছে গেলে মামলা শেষ হবে। কিন্তু আমার কাছে তো আসতে হবে শুনতে হবে। মামলা আমিই করছি, আমিই শেষ করব।’
জামালপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সজিব খান বলেন, ‘কল রেকর্ডটি এখনও শুনিনি। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Discussion about this post