আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন । যিনি বিশ্বাসীদের জন্য আকাশ ও ভূখন্ডে অসংখ্য নিদর্শন রেখেছেন । পরকালে ঈমানদারদের জন্য জান্নাতুন নাঈম তৈরী করে রেখেছেন ।
পরিপূর্ণ রহমত ও দয়া অবতীর্ণ হোক মুত্ত্বাক্বীনদের ইমাম মহানবী সাঃ, তাঁর পরিবার রাঃ, তাঁর সাহাবীগণ রাঃ, তাবেঈনগণ রাঃ সহ সকল মুসলমানদের উপর ।
প্রিয় ভায়েরা ! ঈমান মজবুত করুন । আল্লাহ ভীরুদের মধ্যে শামিল হোন । এটা আল্লাহর নির্দেশ । আল্লাহপাক বলেন “ যদি তোমরা ঈমান আনয়ন করো এবং ভয় করো, তা’হলে তোমাদের জন্য রয়েছে বিরাট প্রতিদান ।” সূরা আল্ ইমরান ১৭৯
একদা আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা আবু বকর রাঃ বয়ান দিতে গিয়ে বলেন “ মহানবী সাঃ বলেছেন “ হে মানবমন্ডলী ! আল্লাহপাক তোমাদের কাউকে ইয়াক্বীন ও ফিৎনা থেকে নিরাপদ থাকা অপেক্ষা অধিক উত্তম কিছুই দেননি । সুতরাং তোমরা এ দুটোর জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো ।” মুসনাদে আহমদ ৩৮
এখানে ইয়াক্বীন অর্থ ঈমান সংশ্লিষ্ট সবকিছুই । ছহীহুল বোখারি ১১/১
আল্লাহপাক বলেন “ ঠিক এভাবেই আমি ইব্রাহিমকে ( আঃ ) আমার আসমান জমীনের রাজত্ব দেখিয়েছি । যেনো তিনি বিশ্বাসীদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন । সূরা আল্ আনআম ৭৫
সাইয়্যিদুনা মুসা আঃ’র সাথীরা বলেছিলো ‘ আমরা তো ধরে পড়ে গেলাম ! তখন মুসা আঃ বললেন “ কক্ষনো নয় । আমার রব আমার সংগেই আছেন । তিনিই পথ দেখাবেন ।” সূরা আঁশ শুয়ারা ৬১-৬২
এ আয়াতে সাইয়্যিদুনা মুসা আঃ’র ঈমান ও দৃঢ়তা স্পস্ট হয়েছিলো । গুহার মধ্যে যখন আবু বকর রাঃ বলেছিলেন ইয়া রসুলাল্লাহ ! আমরা তো দু’জন ! ‘ জবাবে নবীজী সাঃ বলেছিলেন “ হতাশ হয়োনা । আল্লাহ আমাদের সাথেই রয়েছেন ।”
সূরা তাওবা ৪০ এখানে প্রিয় নবী করিম সাঃ’র বলিষ্ট ঈমান ফুটে উঠেছিলো ।
হে মুসলমানগণ ! আল্লাহর নাম ও সিফাত সমূহের উপর পূর্ণ ঈমান আনয়ন করুন । এ কুরআন মানবজাতির জন্য আলোক বর্তিকা স্বরুপ । বিশ্বাসীদের জন্য রহমত ও হেদায়াত । সূরা জাছিয়া ২০
দৃঢ় বিশ্বাসীদের জন্য ভূখন্ডে নিদর্শন রয়েছে । তবুও কি তোমাদের চোখ খুলবেনা ?সূরা আয যারিয়াত ২০-২১
তিনি ( মহান আল্লাহ ) সৃষ্টি করার পর সুসম করেন । নিরুপণ করেন এবং পথ দেখান । সূরা আল্ আ’লা ২-৩
যিনি সৃষ্টি করেন তিনি কি সবকিছুর ব্যাপারে অবগত নয় ? বরং তিনি সূক্ষদর্শী পর্যবেক্ষণকারী ।সূরা আল্ মুল্ক ১৪
তোমাদের কাছে হয়ত এমন কিছু পছন্দ, যা তোমাদের জন্য ভালো নয় । আল্লাহপাক যা জানেন তোমরা তা জানোনা ।”
সূরা আল্ বাক্বারা ২১৬
হে নবী সাঃ ! আপনার রব যাঁর প্রতি ইচ্ছা রিজিক খুলে দেন এবং যাঁর প্রতি ইচ্ছা সংকীর্ণ করে দেন । তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সম্পূর্ণ জ্ঞাত ও অবলোকনকারী ।” সূরা আল্ ইসরা ৩০
কোন ব্যক্তি তাঁর রিজিক পূর্ণ করার আগ পর্যন্ত মরবেনা ।” বলেছেন বিশ্বনবী সাঃ । বাইহাক্বী ১১৪১
অনুগ্রহ আল্লাহর হাতে । যাকে ইচ্ছা তিনি দান করেন । সূরা আল্ হাদীদ ২৯
আল্লাহপাক সবকিছু পরিচালনা করেন এবং বিস্তারিত বর্ণনা করেন । যেনো তোমরা তাঁর সাথে সাক্ষাত করার বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস অর্জন করতে পারো ।”সূরা আর রা’দ ২
মহানবী সাঃ দোয়া করতেন “ ইয়া আল্লাহ ! আমাদের মাঝে আপনার ভয় জাগ্রত করুন । এর দ্বারা যেনো আমাদের ও গুনাহের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এবং আপনার আনুগত্যের দিকে ধাবিত করে । যদ্ধারা আপনার জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছতে পারি । আপনার ভয় যেনো আমাদের মাঝে এমন মজবুত ঈমান এনে দেয়, যদ্ধারা দুনিয়ার বিপদাপদ সমূহ সহজ হয়ে যায় । সুনানে তিরমিযি ৩৫০২
পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসীদের ব্যাপারে আল্লাহপাক বলেন “ তাঁরা তাঁদের রবের হেদায়াতের উপর আছে এবং তাঁরাই সফলকাম ।” সূরা আল্ বাক্বারা ৪-৫
কবি বলেন “ আমার ঈমান আমার দুঃখ কষ্ট অপেক্ষা অনেক বেশী মজবুত । মানুষের উত্তম সম্বল হলো তাঁর সঠিক ও নিখুঁত ঈমান ।”
আমি ( খতীব ) যখন দোয়া করবো আপনারা সবাই আমিন বলবেন । দোয়া কবুল হওয়ার উপর বিশ্বাস রাখুন । হাদিসে এমনটি পাওয়া যায় । সুনানে তিরমিযি ৩৪৭৯ দেখতে পারেন ।
ইয়া আল্লাহ ! আপনার প্রতি আমাদের ঈমান শক্ত ও মজবুত করুন । আমাদের জন্য সীমাহীন রিজিক ও বরকত উম্মুক্ত করুন । আমাদের মা বাবাদেরকে মাফ করুন এবং তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন । আমিন ইয়া রব ।
Discussion about this post