ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের খবরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেখে যাওয়া এতিম সন্তানরা খুশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাংবাদিকদের সাথে এক ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে, দিনভর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার খবরে খুনি হাসিনার রেখে যাওয়া এতিম সন্তানরা খুব খুশি হয়েছে।
আমরা তাদের বলতে চাই, আমেরিকায় কে নির্বাচিত হলো সেটি দিয়ে বাংলাদেশের পলিসি নির্ধারিত হবে না। বাংলাদেশের পলিসি নির্ধারণ হবে ওয়াসিম, মুগ্ধ ও আবু সাঈদদের রক্তের দায়ের ওপর ভিত্তি করে। মোদির প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না, কোনো ওয়েস্টের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। বাংলাদেশ চলবে ছাত্র নাগরিকের প্রেসক্রিপশনে।
মির্জা আব্বাসকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, ‘আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না, যখন ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যায় আচরণ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায় তখন বাবার আগে ছেলেরাই কিন্তু রাস্তায় নেমে আসে। সন্তানদের পেছনেই কিন্তু আপনারা এই গণঅভ্যুত্থান করেছেন। বাবা যখন বার্ধক্যে পৌঁছায় তখন বাবাকে সন্তানের কাঁধে হাত রেখেই বাকিটা পথ চলতে হয়। টকশোতে টকশোজীবীরা দেখা যাচ্ছে জাতীয় পার্টি ও ছাত্রলীগের জন্য মায়া কান্না করছে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগে যদি আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কার্যক্রমে আহ্বান জানান তাহলে চব্বিশে যারা রক্ত দিয়েছে তাদের রক্তের সাথে আপনার বেইমানি করবেন।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির সাথে কাজ করতে চায়। আপনারা যদি কোনো সমঝোতার রাজনীতি করেন, তাহলে সেটি হবে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি। সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিস্ট উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় আমাদের অবস্থান থাকবেই।’
এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে সারজিস আলমসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post