গণমাধ্যমটি বলেছে, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যুদ্ধবিমানটি পাঞ্জাবের আদমপুরে বিমানঘাঁটি থেকে উড়েছিল এবং আগরার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ই আগরার কাছে সোনগা গ্রামে বিধ্বস্ত হয় মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। এর আগে সেপ্টেম্বরে রাজস্থানে একই রকমের দুর্ঘটনা ঘটে। তবে বিমান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পাইলট।
এবার সতর্ক পাইলট বিমানটি ত্যাগ করার আগে গ্রামের বসতি এলাকা থেকে দূরে একটি ফাঁকা মাঠের দিকে সেটি এগিয়ে নিয়ে যান। ওই মাঠেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। গ্রামের বসতিপূর্ণ এলাকায় বিধ্বস্ত হলে সাধারণ মানুষের জখম হওয়া বা প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। পাইলটের দক্ষতায় তা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
যুদ্ধবিমানটি মাঠে আছড়ে পড়তেই আগুন ধরে যায় তাতে। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিমানবাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, রুটিন প্রশিক্ষণ চলার সময়ই এই গোলযোগ হয়। পাইলটের দক্ষতার কারণে ফাঁকা জায়গায় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২ সেপ্টেম্বরও একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে রাজস্থানের বারমেরের কাছে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। সেবারও পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানে আধুনিকীকরণও করা হয়েছে। মিগ-২৯ এখন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ।
Discussion about this post