একের পর এক বিমানে ভুয়া বোমাতঙ্ক ছড়ানোয় উদ্বিগ্ন ভারত। বিভিন্ন বিমান সংস্থাকে নিয়ে বৈঠকও করেছে ভারতের বেসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটি (বিসিএএস)। এসবের মধ্যেই রোববার দিল্লি থেকে রওনা দেয়া একটি বিমানকে আকাশসীমায় প্রবেশের অনুমতি দিলো না আফগানিস্তান প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যায়, জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টগামী ওই বিমানটি নিয়েও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তবে বোমাতঙ্কটির বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু ছিল না। ‘নন স্পেসিফিক’ বলে উল্লেখ ছিল। এর কারণে বিমানটিকে ফ্র্যাঙ্কফুর্টের উদ্দেশে উড়ানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
ফ্র্যাঙ্কফুর্টগামী ওই বোয়িং বিমানে অন্তত ২৪০ যাত্রী ছিল।
এক প্রতিবেদনে পিটিআই জানায়, সাধারণভাবে ফ্র্যাঙ্কফুর্টগামী বিমানগুলো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের আকাশের ব্যবহার করে জার্মানির উদ্দেশে যায়। আকাশপথে বিমান চলাচল পথের ওপর নজর রাখার একটি অনলাইন প্লাটফর্মের তথ্য অনুযায়ী, ওই বিমানটি দিল্লি থেকে রওনা দেয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ পাকিস্তানের আকাশের ওপর ঘুরপাক খেয়েছে। আফগানিস্তানের আকাশসীমাতেও স্বল্প সময়ের জন্য প্রবেশ করেছিল। তারপরেই আবার দিল্লির উদ্দেশে ঘুরিয়ে নেয়া হয় বিমানটিকে। যাত্রীদের নিয়ে রোববারই দিল্লিতে নিরাপদে অবতরণ করে সেটি।
ভারতীয় বিমান সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোববার জানায়, দিল্লি থেকে ফ্র্যাঙ্কফুর্টগামী ওই বিমানটি আবার দিল্লিতে ফিরে আসছে।
তবে কী কারণে বিমানটি ফিরে এলো তা নিয়ে বিমান সংস্থার তরফে সরকারিভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতের বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলোতে হুমকি বার্তা পাঠানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত সবগুলোই ভুয়া। একের পর এক অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে বোমা হামলার হুমকি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিমানে চড়তেই ভয় পাচ্ছেন এখন অনেকে। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের উদ্বেগ কাটাতে পদক্ষেপ করেছে ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটিও।
সংস্থাটির ডিরেক্টর জেনারেল জুলফিকর হাসান জানান, ভারতের আকাশসীমা সম্পূর্ণ নিরাপদ। যাত্রীরাকোনো ভয় ছাড়াই বিমানযাত্রা করতে পারেন।
Discussion about this post