ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পিতা-মাতা হারা এতিম শিশুর একটি বকনা গরু চুরি করে জবাই করেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। জবাইকৃত গরু নিয়ে সিএনজিযোগে পালানোর সময় জবাইকৃত গরুসহ ২ চোরকে আটক করেন স্থানীয় জনতা। উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামে শনিবার(১৯ অক্টোবর) গভীর রাতে চুরির এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,
বিশুতারা গ্রামের মৃত মমিন মিয়ার একমাত্র শিশু পুত্র মহন মিয়া(১০)। অনেক আগেই তার পিতা-মাতা মারা যায়। এতিম মহন মিয়াকে তার খালু একটি বকনা বাছুর লালন পালন করার জন্য আল্লাহর ওয়াস্থে কিনে দেয়। সেই থেকে মহন মিয়া বকনা গরুটি লালন পালন করে আসছে। শনিবার রাত ২ টার দিকে সংঘবদ্ধ একদল চোর বকনা গরুটি চুরি করে নিয়ে যায়।
সকাল ৬ টার দিকে সরাইল বিকাল বাজার মুলিহাটা নামক স্থানে একটি সিএনজিতে জবাইকৃত একটি বকনা গরু দেখতে পান খোরশেদ আলম নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। এ সময় তিনি সন্দেহবশত: বাজারের অন্যান্য লোকজনের সহযোগিতায় ২ চোর ও জবাইকৃত গরুসহ সিএনজিটি আটক করে পুলিশে খবর দেন। সরাইল থানার এসআই কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে জবাইকৃত গরুসহ সিএনজিটি উদ্ধার করে ও ২ চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
আটককৃত ২ চোর হলেন বড়িউড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র সাজু মিয়া(২৫) এবং হালুয়াপাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবীরের পুত্র সোলাস মিয়া (২৯)।
এ ব্যপারে এতিম শিশু মহন মিয়া বলেন, আমার পিতা মাতা অনেক আগেই মারা গেছে। কোনো ভাই বোন নাই। আমার মুসলমানির সময় আমার খালু আমাকে আল্লাহরস্থে গরুটি কিনে দিয়েছে।
এ ব্যপারে মহন মিয়ার নানা আবুল হোসেন বলেন, আমার নাতি এতিম। তার খালু একটি গরু কিনে দিয়েছে লালন পালন করে ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য। এই গরুটি রাত ২ টার দিকে চুরি করে নিয়ে জবাই করে ফেলল চোরেরা।
এ ব্যপারে সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সোলাস নামে এক লোক সিএনজি স্টেশনে এসে রোগী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাকে বিশুতারা গ্রামে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জোরপূর্বক আমার সিএনজিতে একটি জবাইকৃত গরু উঠিয়ে সরাইল বিকাল বাজার মলিহাটা নিয়ে আসে।
এ ব্যপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
Discussion about this post