সব শঙ্কা দূর করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলছেন সাকিব আল হাসান। নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন তিনি। সাদা পোশাকে নিজের শেষ ম্যাচটা ঘরের মাঠে খেলতেই প্রত্যাবর্তন তার।
আগামী ২১ অক্টোবর (সোমবার) মিরপুরে গড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে আগামীকাল দেশে ফিরছেন সাকিব।
এর আগেও বহুবার বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন সাকিব, তবে এবারের ফেরাটা ভিন্ন তার। নিজের দেশেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফিরতে হচ্ছে তাকে। এমনটা কী ভুলেও কখনো ভেবেছিলেন সাকিব!
না ভাবলেও এমনটাই হচ্ছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন সাকিব। ছাত্র জনতার আন্দোলনের আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থায় ভাঙন ধরলে সাকিবও পড়েন মারপ্যাঁচে।
এদিকে সেই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এক গার্মেন্টকর্মী নিহতের ঘটনায় ফেঁসে যান এই অলরাউন্ডার। হত্যা মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। ফলে বিপদে পড়ে যান তিনি। দেখা দেয় তার দেশে ফেরা নিয়ে শঙ্কা।
তবে এর মাঝেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। সেইসাথে নিজের শেষ টেস্টটা মিরপুরে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। যদিও রাখেন নিরাপত্তা নিয়ে শর্ত। যেন খেলা শেষে তাকে নিরাপদে দেশে ত্যাগের সুযোগ দেয়া হয়।
প্রথমে বিসিবি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উভয়েই বিষয়টা নিয়ে কঠোর বিরোধীতা করলেও, পরবর্তীতে দেশের সর্বকালের সেরা এই ক্রীড়াবিদের প্রতি নরম হন তারা। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তার নিজের অবস্থা পরিস্কার করতে বলা হলেন তারা।
জবাবে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব ভূমিকা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন সাকিব। সেই সাথে বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে ফেরার কথা জানিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থনও চেয়েছেন তিনি।
যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয় সবুজ সঙ্কেত। বলা হয়, নিরাপত্তা দেয়ার কথাও। ক্রীড়া উপদেষ্টা নিজেই জানান, খেলতে কোনো বাঁধা নেই সাকিবের। আইনের বিষয় আইন দেখবে।
তার সেই বক্তব্যের পর থেকেই সাকিবের ফেরা অনেকটাই নিশ্চিত হয়। সেই সাথে প্রশ্ন উঠে, কবে তবে দেশে ফিরবেন সাকিব? উত্তরটা আনুষ্ঠানিকভাবে না মিললেও জানা গেছে একদিন পরই দেশে ফিরতে পারেন তিনি।
Discussion about this post