লক্ষ্মীপুর একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন, বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া ও হৃদয় হোসেন। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন সুমন হোসেন, মো. রকি, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো. হৃদয়, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ২০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আহতরা বাস ও সিএনজিরচালক বলে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীণ লাইফ ফিলিং স্টেশনে। এ সময় বাসে গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে স্টেশনে থাকা সিএনজিচালকরা ছুটাছুটি শুরু করেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন চালক। আহত হয় অন্তত আরো ২০ জন।পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ ঘটে।লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। তাদের আমরা চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আহত আছেন ২০ জনের মতো। এর মধ্যে ১০ জনেরই কারো হাত, কারো পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে দগ্ধ হয়েছে। আমরা অধিকাংশ রোগীকেই ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post