স্ত্রীকে দৈনিক অন্তত ১০০ বার ফোন দিতেন স্বামী। তবে ভালোবেসে নয়, ঈর্ষায়। এ ঘটনায় জাপানে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হায়োগো প্রিফেকচারের ৩১ বছর বয়সী এক নারী পুলিশকে জানান- জুলাই ও আগস্ট মাসে তিনি প্রতিদিন অস্বস্তিকর ব্ল্যাংক কল পেয়েছেন। ফোন রিসিভ করার পর ফোনকারী কোনও কথা বলতেন না। প্রথমদিকে তিনি তার স্বামীর কাছে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তার উদাসীনতা ও উদ্বেগের অভাব তাকে হতাশ করেছিল।
এক পর্যায়ে ওই নারী দেখতে পান, তার স্বামী যখন ঘুমিয়ে থাকে, খেলাধুলা করে কিংবা তার সাথে সময় কাটায় তখন ফোনকল আসে না। তার সন্দেহ বাড়লে তিনি একটি পরীক্ষার পরিকল্পনা করেন। একসাথে কেনাকাটা করার সময়, তিনি তার স্বামীর কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তিনি লক্ষ্য করে দেখতে পান, ওই সময় তার স্বামী ফোন স্পর্শ করেননি এবং তখন কোনও কলও আসেনি।
এরপরে ওই নারী পুলিশকে তার উদ্বেগের কথা জানান। পুলিশ ওই দম্পতির ফোন রেকর্ডগুলো তদন্ত করে। তদন্তে দেখা যায়, স্বামীই প্রকৃতপক্ষে রহস্যময় নীরব কলগুলোর পরিকল্পনাকারী ছিল। সে তার পরিচয় গোপন করার জন্য ভিন্ন একটি নম্বর ব্যবহার করত।
পুলিশ জানায়, এই দম্পতির সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না এবং তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতো। তবে কয়েক মাস আগে স্বামী জানতে পেরেছিলেন, তার স্ত্রী অন্য একজন পুরুষের সাথে কথোপকথনে জড়িত। এতে তিনি ঈর্ষান্বিত হন এবং হুমকি বোধ করেন। তিনি শাস্তি হিসেবে স্ত্রীকে নীরব কল দিতে শুরু করেন। অবশ্য স্বামী স্বীকার করেছেন, তিনি তার স্ত্রীকে অনেক বেশি ভালোবাসেন।
৮ সেপ্টেম্বর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। জাপানের আইন অনুযায়ী, ফোন কলের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য মানসিক যন্ত্রণা সৃষ্টি করা একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ধরনের অপরাধের জন্য এক বছরের কারাদণ্ড বা সাত হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সূত্র: এনডিটিভি, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
Discussion about this post