সীমান্ত হত্যা দুই দেশের (বাংলাদেশ–ভারত) ভালো সম্পর্কের পথে অন্তরায় বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তে একটি মানুষ গুলি খেয়ে মারা গেলে সারা দেশে এর প্রতিক্রিয়া হয়। এবং সেটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, যা আমরা চাই না।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ প্রতিক্রিয়া জানান।
আজ ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কান্তিভিটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে জয়ন্ত কুমার সিং নামে ১৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়। চলতি মাসের ৯ দিনে বাংলাদেশের দুই কিশোর-কিশোরী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হলো।
জয়ন্ত কুমার হত্যার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি বিজিবির কাছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। অবশ্যই আমরা শক্তভাবে (এ ঘটনার) প্রতিবাদ জানাব।’
সীমান্ত হত্যা কেন ঘটছে, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যখন সোনালি সম্পর্ক, তখনো এসব ঘটেছে। আসলে এটার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমি তো মনে করি একধরনের ধারাবাহিকতা চলছে।…এটা অবশ্যই অগ্রহণযোগ্য একটা বিষয়।’
দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশ কেমন সম্পর্ক চায়, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ভালো সম্পর্ক চাই। আমরা সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে (সম্পর্ক) চাই।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, সীমান্ত হত্যা দুই দেশের ভালো সম্পর্কের পথে অন্তরায়। সব ভালো সম্পর্ক শুধু দুই দেশের সরকারের বিষয় নয়, মানুষের বিষয়। সীমান্তে একটি মানুষ গুলি খেয়ে মারা গেলে সারা দেশে এর প্রতিক্রিয়া হয়। সেটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, যা বাংলাদেশ চায় না।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৩ বছরের কিশোরী স্বর্ণা দাশ নিহত হয়। ওই হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।
Discussion about this post