জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রশাসন যদি দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসে প্রয়োজন হলে আমরা তাদের পাহারা দেব।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হানের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকার পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য কমিটি ফরমেশন করেছি। প্রথম দিন থেকে বক্তব্য বিবৃতির মাধ্যমে আমি জাতিকে আহ্বান জানিয়েছি আমরা বিশৃঙ্খলা হতে দেব না। প্রশাসনের সাথে ইতোমধ্যে জেলা, উপজেলা ও বিভাগের স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের মিটিং হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা যদি দায়িত্ব পালন এগিয়ে আসে, আমরা তাদের পাহারা দেব।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে সংস্কারের, এটি শেষ হয়নি। যুদ্ধে আমরা আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের আমির বলেন, বুদ্ধি দিয়ে যুদ্ধ করেছে যুবসমাজ। বৈষম্য থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য ছাত্র ও যুব সমাজের যে প্রত্যাশা, এদেশের ১৮ কোটি মানুষের যে প্রত্যাশা, আমার এবং আমাদের দলের সেই একই প্রত্যাশা। সে প্রত্যাশা হচ্ছে দেশে ইনসাফ কায়েম করা। বেইনসাফি দূর করা, বৈষম্য দূর করা এবং মানুষের নায্য অধিকার সুনিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের যে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলোতে আমরা লাঠি হাতে দিয়ে পাহারাদার বসিয়েছি। গত তিন দিন ধরে তারা দিবারাত্রি পাহারা দিচ্ছে। তাদের মধ্য থেকে অথবা সাধারণ নাগরিকদের মধ্য থেকে কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে তাদের সাহায্যের জন্য আমরা হেল্পলাইন ওপেন করেছি।
এর আগে, জুমার নামাজের পরে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে জেলার পুঠিয়া উপজেলার তাহেরপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) নগরীর আলুপট্টি মোড় এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রায়হান গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় আলী রায়হান মারা যান।
Discussion about this post