কোয়ার্টারের লড়াইয়েও নিজেদের যোগ্যতা আরেকবার প্রমাণ করল আফ্রিকার অ্যাটলাস লায়নরা। যুক্তরাষ্ট্রকে একটি-দুটি নয়; এক হালি গোলের লজ্জায় ভাসিয়ে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের সেমিফাইনালে পা রাখলো দলটি।
দলের সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফ হাকিমি ছাড়াও গোল পেয়েছেন সোফিয়ান রাহিমি, ইলিয়াস আখোমাখ ও মেহেদী মাওহোব।
শেষ আটের লড়াইয়ে শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে মরক্কোর ফুটবলাররা; নিজেদের মধ্যকার বোঝাপড়াও ছিল দেখার মতো। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়রা ছিলেন ছন্নছাড়া। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি তারা।
সমন্বয়হীন খেলার মাশুল গুনে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই গোল খেয়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। বক্সের ভেতর ফাউল করে মরক্কোকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসেন নাথান হারিয়েল। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে লিড এনে দেন রাহিমি। এই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মরক্কো।
বিরতির পর মুহুর্মুহু আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে মরক্কো। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে নিজেদের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেয় তারা। ফাঁকা রক্ষণ পেয়ে আবদে ইজালযুলির পাস থেকে গোল করে মরক্কোকে আরও এগিয়ে দেন আমোমাখ।
৭০তম মিনিটে গোলরক্ষক প্যাটট্রিক শুলটেকে ফাঁকি দিয়ে ম্যাচটাকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগালের বাইরে নিয়ে যান আশরাফ হাকিমি। এরপর ৯০তম মিনিটে মরক্কোর হয়ে গোলের হালি পূর্ণ করেন মাওহোব। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন তিনি। আর এই গোলের মধ্য দিয়ে বড় জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক ফুটবলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মরক্কো।
Discussion about this post