ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিল। যদিও বুথ ফেরত বেশ কয়েকটি জরিপ বিরোধীদের জয়ের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিল।
স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিলের প্রধান এলভিস আমরোসো বলেছেন, নিকোলাস মাদুরো ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মতো জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ এডমুন্ডো গঞ্জালেজ ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
তিনি জানিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যালট বাক্স গণনা করা হয়েছে। নির্বাচনী ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমের বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসন’ এর কারণে ফলাফল প্রকাশে বিলম্বিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তখন থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করেন কোটি কোটি ভোটার।
১১ বছর ধরে ক্ষমতা রয়েছে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এবারই বিরোধীদের পক্ষ থেকে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচনী লড়াইয়ের মুখোমুখি হোন তিনি। তাকে সরাতে সব বিরোধ-বিভেদ ভুলে এক হয়ে নির্বাচন করেছেন বিরোধী দলগুলোর নেতারা।
২০১৩ সালে বামপন্থী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ ক্যান্সারে মারা গেলে ক্ষমতায় আসেন মাদুরো। এবার শ্যাভেজের ৭০তম জন্মবার্ষিকীর দিনে দেশটিতে ভোট হয়েছে। এই নির্বাচনে ৬১ বছর বয়সী মাদুরো তৃতীয় মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় এলেন।
এত বছর বিরোধীরা নিজেদের মধ্য বিভিন্ন ইস্যুতে ফাটল জিইয়ে রেখেছিলেন। এই সুযোগে নিজের ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত রাখতে পেরেছিলেন মাদুরো। তবে এবার বিরোধীরা সেসব বিভেদ ভুলে মাদুরো সরকার হঠাতে একাট্টা হয়েছিল। সব বিরোধী দল মিলে একজনকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তার নাম এডমুন্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া। বয়স ৭৪ বছর। প্রধান বিরোধী দলের নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে সরকারি দায়িত্ব গ্রহণে নিষিদ্ধ করার পর তাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে এত কিছু করেও মাদুরোকে হটাতে পারেনি তারা। বিস্তর আশা-ভরসার কথা শোনালেও শেষ পর্যন্ত জনরায় মাদুরোর পক্ষেই গেল।
মাদুরো বলেছেন, তার পুনঃনির্বাচন শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে জয়। তিনি ভেনেজুয়েলার নির্বাচনী ব্যবস্থা স্বচ্ছ বলে তার প্রচারণার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
Discussion about this post