পান চাষ করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন দিনাজপুরের ওমান ফেরত প্রবাসী যুবক হাবিবুর রহমান। ধান এবং আলুর চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লাভ হওয়ায় বিরলে প্রথম পানের চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেন। তিনি বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউপি’র শ্যামপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র।
জানা যায়, হাবিবুর রহমান বিদেশে কষ্টের জীবন সহ্য করতে না পেরে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে দেশে ফিরে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে দেখেন, সেখানকার মানুষ পানের চাষ করে অনেক স্বাবলম্বী ও লাভবান। এরপর উদ্যোগ নিয়ে সেখান থেকে পানের চারা এবং শ্রমিক নিয়ে নিজ বাড়ির পাশে ১৮শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক পানের চারা রোপন করে চাষ শুরু করেন। সেখানেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরে ২০২২ সালে জমির পরিমান বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ এবং বর্তমানে ৩৫ শতাংশ জমিতে পানের চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
যুবক হাবিবুর রহমান বলেন, প্রথমে পান চাষেও খুব কষ্ট হয়। কারণ পান গাছের পরিচর্যা ও পান পাতা ছেঁড়ার জন্য রাজশাহী ও ফরিদপুর থেকে দক্ষ শ্রমিক আনতে হত। এ কারণে শ্রমিকরাও বেশি টাকা নিতেন। তবে কষ্ট হলেও হাল ছাড়িনি। এখন আমিসহ আমার পরিবারের ৭জন সবাই এই কাজটি শিখে নেই। পাশাপাশি স্থানীয় অনেকে এই কাজটি এখন জানেন।
তিনি জানান, ভালো পরিচর্যা করতে পারলে পান চাষে ধান এবং আলুর চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লাভ হবে। পান চাষে বিরল উপজেলা কৃষি অফিস সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছে। আমার পানের বরজে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ জন স্থানীয় শ্রমিক কাজ করে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, ওমান ফেরত যুবক হাবিবুর রহমান বিরলে প্রথম পান চাষ করে সফল হয়েছে এবং এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাকে সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি। সে প্রমাণ করেছে, বিরলের মাটি শুধু ধান, লিচু, আম, গম, ভুট্টা বা শাক সবজির জন্য উর্বর নয়। পান চাষের জন্যও উর্বর ও উপযোগী এবং পান চাষে ব্যাপক লাভ
Discussion about this post