ইতালিতে পৌঁছার আগেই ভূমধ্যসাগরে শাহিবুর রহমান ওরফে মান্না ও রেজাউল ইসলাম নামের বাংলাদেশি দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জে। নৌকায় থাকা সুনামগঞ্জের অন্যরা ফোনে এই দুই তরুণের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শাহিবুর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউপির তলের বন গ্রামের আবদুল ওয়াহাবের ছেলে। রেজাউল ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউপির দৌলতপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে।
শাহিবুরের বড় ভাই শাহিবুল ইসলাম জানান, শাহিবুর বিদেশে যাওয়ার জন্য পাগল ছিলেন। গ্রামের আরো দু-একজন এভাবে ইতালিতে গেছেন। তাদের মাধ্যমেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উজ্জ্বল আহমদ নামের এক দালালের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।
এরপর সাড়ে আট লাখ টাকায় রফা হয়। এই টাকা দিয়ে ১০ মাস আগে শাহিবুর লিবিয়ায় যান। এরপর শুরু হয় গেমের জন্য অপেক্ষা। বাড়ি থেকে মাসে মাসে খরচের টাকা পাঠানো হতো। বাবা কৃষিকাজ করেন। এক ভাই চালান অটোরিকশা। তবুও ছোট ভাইয়ের মুখের দিকে চেয়ে খেয়ে না খেয়ে টাকা পাঠাতেন তারা।
একপর্যায়ে দালাল জানান, আরো এক লাখ টাকা না দিলে গেমে তোলা হবে না। এরপর সুদে টাকা এনে পাঠান তারা। গত শুক্রবার লিবিয়া থেকে গেমে ওঠানো হয় শাহিবুরকে।
শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে লাশ দেশে আনা যায়, সেটির উদ্যোগ নেব।
রেজাউলের ফুফাতো ভাই ইমরান আহমদ জানান, পথে অসুস্থ হয়ে রেজাউল ও শাহিবুর মারা গেছেন। ইতালিতে পৌঁছার পর তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। রেজাউল ও শাহিবুরের লাশ কোথায় রাখা হয়েছে, তারা সেটি জানেন না।
ছাতকের ইউএনও গোলাম মুস্তাফা জানান, রেজাউল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন পেয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
Discussion about this post