রোববার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় তার সাথে নিহত হয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও।
সোমবার (২০ মে) সকালে প্রদেশটির পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।
রোববার হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল তেহরান। তবে যৌক্তিক কিছু কারণে কোন সহায়তা করেনি দেশটি।
সোমবার (২০ মে) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু বলেনি। খবর আরব নিউজ।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলছেন না। তবে ইরান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মূলত লজিস্টিক্যাল কারণে ইরানকে সেই সহায়তা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
মূলত ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে। তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো, তা বলতেও অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ইঙ্গিত দেন, রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটিকে খুঁজে পেতে দ্রুত সাহায্য চাইছিল ইরান।
মিলার বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর ইরান সরকার আমাদের সাহায্য চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম যে আমরা সহায়তা করতে ইচ্ছুক কারণ এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সরকারের ক্ষেত্রে আমরা সহায়তা করে থাকি।
কিন্তু অবশেষে, মূলত যৌক্তিক কারণে, আমরা সেই সহায়তা প্রদান করতে পারিনি। বলেন মিলার।
Discussion about this post