যুদ্ধবিরতি নির্ভর করছে হামাসের উপরে। তারা যদি আজই জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে আগামীকালই যুদ্ধবিরতি সম্ভব। তাছাড়া জিম্মিরা মুক্তি পেলে ইসরায়েল এই সংঘাতের সমাপ্তিও টানতে পারে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শনিবার (১১ মে) সিয়াটলে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে শুক্রবারের বিভিন্ন কর্মসূচিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে করা প্রশ্ন এড়িয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত বছরের ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালান ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তাদের ওই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। পাশাপাশি ২৫২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।
অতর্কিত ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেদিন রাত থেকেই হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তাছাড়া এই সংঘাতে আহত হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি।
গত বছর নভেম্বরের শেষের দিকে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তার আগে আরও চারজনকে মুক্তি দেয় তারা। ইসরায়েলের ধারণা, হামাসের কাছে এখনো ১২৮ জন জিম্মি রয়ে গেছেন ও তাদের মধ্যে কয়েকজন মারাও গেছেন।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, তিন জিম্মিকে জীবিত ও ১২ জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, মারা যাওয়া জিম্মিদের মধ্যে তিনজন ‘ভুলবশত’ সামরিক বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ নতুন গোয়েন্দা তথ্য ও গাজায় পাঠানো সেনাদের প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৬ জন জিম্মি মারা গেছেন। আর অক্টোবর থেকে আরও একজন নিখোঁজ হিসেবে তালিকাভুক্ত। বাকি জিম্মিদের কপালে কী আছে, তা এখনো অজানা।
সূত্র: আল জাজিরা
Discussion about this post