সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ক্যান্টিনে অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি ও খাওয়ার ওপর সারা দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এমারাত আল ইউম জানিয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলগুলোতে আর নিম্নোক্ত খাবার বিক্রি বা শিক্ষার্থীদের আনা অনুমোদিত হবে না: প্রসেসড মাংসজাত খাবার (যেমন: মর্টাডেলা, সসেজ), ইনস্ট্যান্ট নুডলস, সফট ড্রিংকস, চকোলেট, প্যাকেট বিস্কুটসহ চিনি সমৃদ্ধ স্ন্যাকস, চিপস, কেক, পেস্ট্রি (উচ্চ চর্বি ও চিনি যুক্ত), ফ্লেভারড বাদাম। এছাড়া চিনাবাদাম ও চিনাবাদামজাত খাবারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ এগুলো মারাত্মক অ্যালার্জির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব খাবার শিশুদের স্থূলতা ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। খারাপ খাদ্যাভ্যাস শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও শিক্ষার পারফরম্যান্সকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
“স্কুলগুলোকে অবশ্যই এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস হলো রোগ প্রতিরোধের প্রথম স্তর এবং এটি শিশুদের মনোযোগী হতে ও ভালোভাবে শেখায় সাহায্য করে।” — শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা বাসায় শিশুদের সুষম খাবার দেন এবং চর্বি বা চিনি সমৃদ্ধ খাবার স্কুলে পাঠানো থেকে বিরত থাকেন। বিশেষ করে নাশতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি শক্তি জোগায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা স্কুল ও পরিবারের যৌথ দায়িত্ব। এটি শুধু শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ জীবনের জন্যও অপরিহার্য।
Discussion about this post