“ বোনামাজী ব্যক্তির রোজা বিশুদ্ধ নয় এবং কবুলও হবেনা ।” সৌদিয়ার সর্বোচ্চ ফতওয়া বোর্ড اللجنة الدائمة . MQM
বিষয়ঃ নামাজ না পড়ে রোজা রাখা !
*** মহান আল্লাহর উপর ঈমান আনয়নের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো ফরজ নামাজ । এর উপর আর কোন ইবাদত নেই । আর অধিকাংশ মুসলিম নামাজ পড়েনা ।
*** কেউ পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে ২/১ ওয়াক্ত পড়েনা । কেউ ফজরের নামাজ মোটেই পড়েনা । কেউ সপ্তাহে কয়েক ওয়াক্ত পড়ে ! কেউ জুমা’র নামাজ ছাড়া আর কোন নামাজ পড়েনা ! আর কেউ জুমা’র নামাজও পড়েনা ! আর কেউ মাহে রমজান এলে নামাজ শুরু করে ! ঈদের পর থেকে আর নামাজ পড়েনা ! কেউ মাহে রমজানের শুরুতে কয়েকদিন পড়ে ! অতঃপর নামাজ নেই ! নামাজ বিহীন রোজা রাখে ! সূহুর করে ফজরের নামাজ পড়েনা ! এশার ফরজের চেয়ে তারাবীহ’র জন্য বেশী প্রাণ কাঁদে ! এমনকি ঈদের দিন ফজরের নামাজ না পড়ে ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে হাজির আল্লাহর বান্দা ! শবেবরাত / শবে ক্বদরে শত রাকাত নফল পড়ে ! এই হলো বেনামাজী লোকদের শ্রেণী বিভাগ !
*** উপরোল্লিখিত লোকগুলো এক কথায় বেনামাজী । নামাজের প্রতি এদের কোন দায়িত্ববোধ নেই । পড়লে পড়লো ! না পড়লে নেই ! এই ধ্যান- ধারণা লালনকারী !
*** এসব লোকদের রোজা গ্রহণযোগ্য হবে কি ?
*** বিশ্ববিখ্যাত গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বায রহঃ, শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহঃ, শায়খ সালেহ উসাইমিন রহঃ সহ সৌদিয়ার সর্বোচ্চ ফতওয়া পরিষদ اللجنة الدائمة ‘র সুস্পস্ট ফতওয়া হলো “ কোন বেনামাজী ব্যক্তির রোজা বিশুদ্ধ নয় এবং কবুলও হবেনা ।” যেহেতু তাঁরা ইসলাম থেকে খারিজ । মহানবী সাঃ বলেছেন “ নামাজ ত্যাগ করা কূফরী ।”
ফতওয়ায় আরো বলা হয়েছে যে, সারা বছর নামাজ না পড়ে মাহে রমজানে নামাজ পড়া , আবার মাহে রমজানের পর নামাজ ত্যাগ করা “ এটা চরম ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা । এর জন্য কঠিন শাস্তি পাবে ।
فتاوي الصيام ص ٨٧ لابن عثيمين
اللجنة الدائمة ١٠/١٤٠
مجموع فتاوى و مقالات الشيخ بن باز ٢٦٧/١٠
*** UAE ফতওয়া বোর্ড বলেছেন “ নামাজ না পড়ে রোজা রাখা মানে আল্লাহর কুরআনের কিছু অংশ বিশ্বাস করা আর কিছু অংশ বিশ্বাস না করা সদৃশ । খালেচ তাওবা করতঃ রোজা রাখলে রোজা বিশুদ্ধ হবে । তবে নামাজ না পড়ার জন্য কঠিন শাস্তি ভোগ করবে । “
*** কেউ কেউ বলেছেন “ রোজা বিশুদ্ধ হতে পারে ! তবে নামাজ না পড়ার জন্য নজিরবীহিন আযাব ভোগ করবে । নামাজ না পড়ে রোজা রাখা ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে । “
*** আমার কাছে বেনামাজী ব্যক্তির উদাহরণ হলো “ হাত- পা বিহীন মানুষ ! মাটিতে হামাগুঁড়ি দিয়ে চলাফেরা করতে হয় ! নিজে নিজেই খেতে পারেনা ! কারণ তাঁর হাত- পা একটিও নেই ! ফলে খাওয়া ও টয়লেটে যাওয়ার জন্য সার্বক্ষনিক অপরের মুখাপেক্ষী ! অর্থাৎ জীবন্ত লাশ ! জীবিত- মৃত কোনটায় বলা যাচ্ছেনা ! দুটোর মাঝখানে একটি অসহায় প্রাণী !”
*** চূড়ান্তভাবে তাওবা করে নামাজের দিকে ফিরে আসুন এবং রোজা রাখুন । নামাজ না পড়ে রোজা রেখে নিজেকে বর্বাদ করবেন না । এটাই প্রত্যাশা ।
লেখক: Saifullah Mehruzzaman
Discussion about this post