উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানের এক পুলিশ স্টেশনে গতকাল সোমবার ভোরে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। নিউজ খবরের কাগজের
চলতি সপ্তাহেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই দেশটিতে বেড়েছে সহিংসতার ঘটনা। স্থানীয় সময় গত রবিবার রাত ৩টায় উগ্রপন্থিরা স্নাইপার দিয়ে আক্রমণ চালায়। পরে ভবনে প্রবেশ করে। পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া এলাকা দ্রাবান অঞ্চলের পুলিশ কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।
দ্রাবানের পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট মালিক আনিস উল হাসান জানান, ভবনে প্রবেশের পর সন্ত্রাসীরা হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে, যা দিয়ে পুলিশের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। আক্রমণের পেছনে কে ছিল, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এর সঙ্গে নির্বাচন জড়িত কি না, সে বিষয়টিও এখনো অস্পষ্ট।
গত বুধবার খাইবার-পাখতুনখাওয়ার অন্য এক এলাকায় আইনসভার এক প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একই দিন বেলুচিস্তান প্রদেশে দলীয় নির্বাচনি কার্যালয়ে আরেক রাজনৈতিক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বেলুচিস্তান প্রদেশে এক নির্বাচনি সমাবেশে বোমা হামলায় চারজন মারা যান। পরে সে হামলার দায় স্বীকার করে নেয় ইসলামিক স্টেট।
দ্রাবান এলাকাটি জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় গণমাধ্যমটির খবর বলছে, রক্ষণশীল ধর্মীয় দলটির নেতা মাওলানা ফজল উর রহমান গত মাসে আফগানিস্তানে সফর করেছেন তালেবানদের শীর্ষ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য।
ওই দলটি নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে পাকিস্তানের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছিল। দেশটিতে সম্প্রতি উগ্রপন্থিদের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০২২ সাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের লক্ষ করে হামলা চালানো হচ্ছে। ওই বছরই পাকিস্তানি তালেবান ও সরকারের মধ্যের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পতন হয়। সূত্র: রয়টার্স
জেআই/
Discussion about this post