গাজা দখলদার ইজরায়েল বাহিনীর ২৪জন সেনা সদস্য নিহতের দাবি করছেন ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী। আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাজারি মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে ২৪ জন সেনা নিহত হয়েছেন।
হাজারি আরও জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ২১ জন মারা গেছেন ইসরায়েলি বাহিনীকে পাহারা দেওয়া এক ট্যাংকে রকেটচালিত গ্রেনেড আঘাত হানার ঘটনায়। সে সময় ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি দোতলা ভবন ধ্বংস করার জন্য বিস্ফোরক লাগাচ্ছিল। ট্যাংকে গ্রেনেডটি আঘাত হানার পর ভবনের বিস্ফোরকগুলোও বিস্ফোরিত হয় এবং ভবনটি ইসরায়েলি সেনাদের ওপর ধসে পড়ে। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। বাকি ৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন পৃথক ঘটনায়।
সেনা নিহতের ঘটনায় ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজক এক বার্তায় বলেছেন, ‘সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আমি হতাহতের পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করছি।’
ঘটনায় উগ্র ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গভির বলেছেন, ২১ সেনা মৃত্যুর ঘটনা আগের চেয়ে আরও স্পষ্ট করেছে যে গাজায় অভিযান থামানো উচিত নয়।
রেকর্ড সেনা নিহতের দিনেও অবরুদ্ধ গাজা ও অধিকৃত পশ্চিমতীরে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্যালেস্টাইন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, খান ইউনিসে তাদের সদর দপ্তরে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। পিআরসিএসের সঙ্গে যুক্ত নিবাল ফারসেখ জানিয়েছেন, এ হামলার ঘটনায় তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে খান ইউনিস ত্যাগ করার সময় সাদা পতাকা দেখানো ফিলিস্তিনিদের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এরই মধ্যে অবরুদ্ধ গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, হামাসকে গাজায় ইসরায়েলি বন্দিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তির বিনিময়ে ২ মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। তবে প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
সূত্র : রয়টার্স/আল জাজিরা বরাত খবরের কাগজের
Discussion about this post